ফের চিনের আগ্রাসনের অভিযোগ। এবারও লাদাখে। সেখানে প্যাংগং সো অঞ্চলে সেতু বানাচ্ছে শি জিনপিঙের লালফৌজ। এই খবর কানে পৌঁছেছে বিদেশ মন্ত্রকেরও। এবার তা নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করল বিদেশ মন্ত্রক। সাউথ ব্লকের তরফে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, ভারত সতর্ক আছে। সীমান্তে নজরদারি বহাল আছে।
পরমাণু শক্তিধর বিরূপ প্রতিবেশী চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কটা কয়েক দশক ধরেই অম্ল-মধুর। কারণটা মূলত সীমান্ত বিবাদ। দখলদারির মানসিকতা নিয়ে চিন বারবার ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। সাম্প্রতিক অতীতেও সেই আগ্রাসনের চেষ্টা ডোকলাম-সহ একাধিক জায়গায় দেখেছে গোটা বিশ্ব। সেই কারণে, চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে ভারত রীতিমতো সতর্ক। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, 'আমরা ওই সেতু নিয়ে মিডিয়া রিপোর্ট এবং অন্যান্য রিপোর্ট দেখেছি। কেউ কেউ বলছেন দ্বিতীয় সেতু। আবার কেউ বলছেন সেতুটাকে বাড়ানো হচ্ছে। ভারত নজর রাখছে।'
বাগচি জানিয়েছেন, চিনের সঙ্গে ভারত বিভিন্ন স্তরে কথা চালাচ্ছে। একদিকে সেনাস্তরে কথা চলছে। অন্যদিকে কূটনৈতিকস্তরেও কথা চলছে। সম্পর্কে উত্তেজনা দূর করতে এরকম কথাবার্তা আগামী দিনেও চলবে। তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন যে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবছরের মার্চেই ভারতে এসেছিলেন। আমরা তাঁদের কাছে কী প্রত্যাশা করি, জানিয়ে দিয়েছি। বিদেশমন্ত্রী গণমাধ্যমের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সময় আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২০ থেকে চিনের আগ্রাসনের জন্য সীমান্তে যে অস্থিরতা এবং উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তাকে কোনওভাবেই দুই দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ক বলা যায় না।'
আরও পড়ুন- গোড়ালি-জল পেরোতে কাঁধে চাপলেন বিজেপি বিধায়ক, বন্যাবিধ্বস্ত অসমের ভিডিও ভাইরাল
আর, সেই কারণেই ভারত সেই উত্তেজনা কমানোকেই এখন প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করছে। দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরা যেমন নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের দেখানো পথেই চলছে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা। কূটনৈতিকস্তরে বৈঠকের পাশাপাশি সেনাস্তরেও আলাপ-আলোচনা চলছে। প্যাংগং এলাকা কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই এলাকাতেই সেতু নির্মাণের কাজ চলছে বলে বুধবারও অভিযোগ উঠেছে। ডোকলাম সংঘর্ষের পরবর্তী অধ্যায়ে সীমান্তের দুই প্রান্তে ঘাঁটি গেড়েছে চিন এবং ভারতের সেনাবাহিনী। যুদ্ধে কৌশলগত বিভিন্ন জায়গায় সেনা মোতায়েন রয়েছে। তার মধ্যেই চিন প্যাংগং সীমান্তে সেতু বানাচ্ছে বলে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
Read full story in English