বয়স বাড়লেও আমবাগানে যাওয়ার রুটিনে কোন ছেদ পড়েনি। ১২০ বছরের পুরনো আম বাগান বলে কথা। প্রায় ৩০০ রকমের আম হয় এই আমবাগানে। নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন সাধের এই আমবাগান। বছর বিরাশির কলিম উল্লাহ খান প্রতিদিন প্রায় এক মাইল হেঁটে আমবাগানে যান স্রেফ চোখের দেখা দেখতে যান ।
একেবারে নিজের সন্তানের মত তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন তিনি তাঁর সাধের এই আমবাগানকে। লখনউয়ের ছোট শহর মালিহাবাদে এই আমবাগান ঘিরে রয়েছে হাজারো স্মৃতি, চমকও নেহাত কম নয়। তাঁর কথায়, “খালি চোখে দেখলে এটা স্রেফ একটা আমবাগান, কিন্তু আপনি যদি ভাল ভাবে বিচার করেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমের চমক যেন লুকিয়ে রয়েছে এই বাগানেই”।
প্রায় ৩০০ রকমের আম হয় এই বাগানে। স্বাদে, গন্ধে যার জুড়ি মেলা ভার। কলিমের কথায়, “এটা আমার কাছে একটা পুরষ্কার, তিলে তিলে তৈরি করেছি আমার এই সাধের আমবাগানকে”। তিনি বলেন, প্রতিটি আম তাদের স্বাদ, গঠন, রঙ এবং আকারে সেরা। বলিউড তারকা এবং ১৯৯৪ সালের মিস ওয়ার্ল্ড ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের নামানুসারে তিনি আমের না রেখেছেন ঐশ্বর্য । আজ অবধি, এটি তার 'সেরা সৃষ্টির একটি।'
আরও পড়ুন: <অভিজাত ফ্ল্যাটে অশ্লীলতার সীমা ছাড়াল পড়ুয়ারা, ভিডিও ভাইরাল হতেই তৎপর পুলিশ>
তাঁর কথায়, অভিনেত্রীর মত সুন্দর এই আম। আর স্বাদ যা মন ছুঁয়ে যাবে আপনার! একটি আমের ওজন এক কেজি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কিংবদন্তী ক্রিকেটার নায়ক সচিন তেন্ডুলকরের সম্মানেও রেখেছেন আমের নাম।
আরেকটি আম হল 'আনারকলি। প্রতিটি আম তার স্বাদে এবং গন্ধে একে অপরকে টেক্কা দিতে তৈরি। কিছুটা গর্বের সঙ্গে তিনি বলেন, “মানুষ আসবে এবং যাবে, কিন্তু আম চিরকাল থাকবে, এবং বছর পরে, যখনই এই সচিন আম খাওয়া হবে, লোকেরা ক্রিকেটের নায়ককে মনে রাখবে," আট সন্তানের বাবা কলিম উল্লাহ খান তাঁর সাধের এই আমবাগান নিয়েই বেঁচে রয়েছেন।