Mehul Choksi Arrested: অবশেষে গ্রেফতার হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতারণা মামলার 'মাস্টার মাইন্ড' তথা পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। বেলজিয়াম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই ও ইডি- দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন মেহুল চোকসি। সূত্রের খবর, তাকে শীঘ্রই ভারতে আনার প্রস্তুতি চলছে! মেহুল চোকসি বিরুদ্ধে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে ১৩,৫০০ টাকা প্রতারণার মামলা রয়েছে এবং তিনি এই মামলায় গ্রেপ্তারি এড়াতে তিনি ভারত থেকে পালিয়ে বেলজিয়ামে গিয়ে আশ্রয় নেন।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে বেলজিয়ামে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) এর আপিলের ভিত্তিতে শুক্রবার (১১ এপ্রিল, ২০২৫) ৬৫ বছর বয়সী এও ব্যবসায়ীকে চোকসিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি বেলজিয়ামে জেলবন্দী রয়েছেন।
মেহুল চোকসি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৩,৫০০ কোটি টাকা প্রতারণা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত। গ্রেপ্তারি এড়াতে তিনি ভারত থেকে বেলজিয়ামে পালিয়ে আশ্রয় নেন। তাঁর স্ত্রী প্রীতি চোকসি বেলজিয়ামের নাগরিক। সেই সূত্রেই তিনি বেলজিয়ামে আশ্রয় নেন। মেহুল চোকসিকে গ্রেপ্তার করার সময়, বেলজিয়াম পুলিশ মুম্বইয়ের একটি আদালত কর্তৃক তার বিরুদ্ধে জারি করা দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার উল্লেখ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাগুলি ২৩ মে, ২০১৮ এবং ১৫ জুন, ২০২১ -এ জারি করা হয়। তবে সূত্রের খবর, মেহুল চোকসি শারীরিক অসুস্থতা এবং অন্যান্য কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করতে পারেন।
মুর্শিদাবাদে অ্যাকশনে 'সেন্ট্রাল ফোর্স'! অশান্তিবাজদের কব্জায় আনতে দুরন্ত তৎপরতা
চোকসির বিরুদ্ধে পিএনবি থেকে ১৩,৫০০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ
পিএনবি-র ১৩,৫০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে সিবিআই এবং ইডি মামলা দায়ের করে। চোকসির ভাগ্নে নীরব মোদীও এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত, যিনি এই মুহূর্তে লন্ডনে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। তার প্রত্যর্পণও সময়ের অপেক্ষা।
মেহুল চোকসি কবে ভারত থেকে পালিয়েছিলেন?
মেহুল চোকসি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে নীরব মোদীর সঙ্গে ভারত থেকে পালিয়ে যান। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার আগেই তারা দুজনেই দেশ ছাড়েন। এর আগে সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন মেহুল চোকসির ২২ হাজার ২৮০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং তা বিক্রির প্রস্তুতি চলছে। সেই সম্পত্তি বিক্রি করে বকেয়া টাকা মেটানো হবে।