কথা ছিল নিজেরাই ১৭ আগস্ট দুপুরে শিখ বিপ্লবী কর্তার সিং সারাভার বাড়ির সামনে থেকে আত্মসমর্পণ করবে। অন্তত তেমনটাই দাবি করেছিল সর্বেশ শাহপুর আর নবীন দালাল। কিন্তু আদতে তেমন কিছুই হলো না। সপ্তাহের শুরুতে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা উমর খালিদের ওপর চলা হামলার দায় স্বীকার করে দিন দুয়েক আগে একটি ভিডিও প্রকাশ করে এই দুই যুবক। ভিডিওর মূল বক্তব্য ছিল দেশবাসীর জন্য স্বাধীনতা দিবসের উপহার হিসেবে 'দেশদ্রোহী' খালিদের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা। সন্দেহের বশে প্রশাসন যেন অন্য কাউকে গ্রেফতার না করে, সে আর্জিও দুজন জানিয়েছিল ভিডিওতে।
আরও পড়ুন: উমর খালিদের হামলাকারী গো রক্ষক!
ওই দুই যুবককে নাগালে পেতে হরিয়ানা ও পাঞ্জাব পুলিশের সাহায্য নিচ্ছে দিল্লি পুলিশ। হরিয়ানা বা পাঞ্জাবের কোনও জায়গা থেকে ওই ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছিল বলে পুলিশের অনুমান। ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বক্তব্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার লুধিয়ানায় ধরা দেওয়ার কথা ছিল ওই দুই যুবকের। তাদের গ্রেফতার করার জন্য দিনভর সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায়। রাজধানী থেকে ৩০জন পুলিশের দলসহ স্পেশাল ওয়েপন অ্যান্ড ট্যাক্টিক্স (সোয়াট) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধরা দেয়নি সর্বেশ এবং নবীন।
শুক্রবার লুধিয়ানার কার্তার সিং সারাভার বাড়ির সামনে ভিড় করে একাধিক বাম ছাত্র সংগঠন। RSS-এর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। নওজোয়ান ভারত সভার পক্ষ থেকে কুলবিন্দর সিং বলেন, "বিপ্লবী কর্তার সিং ছাত্রদের অধিকারের জন্য সারা জীবন লড়ে গেছেন। এই হামলাকারীরা কর্তার সিং-এর সঙ্গে নিজেদের নাম জড়িয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে।" সংগঠনের জনৈক নেতা অরুণ কুমার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "দুষ্কৃতীরা নিজে থেকে ধরা না দিলে পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করছে না কেন এদের? উল্টে এদের কে 'বীর'-এর সম্মান দেওয়া হচ্ছে।"