Advertisment

#MeToo:'প্রতিভাবান শিকারি' বলে আমায় অপমান করেছেন প্রিয়া রমানি': জবানবন্দিতে বললেন এম জে আকবর

এশিয়ান এজ-এর সাংবাদিক প্রিয়া রমানির পর এক এক করে প্রায় কুড়ি জন মহিলা আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। আকবর পালটা রমানির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
MJ Akbar, Priya Ramani

আজ নিজের জবানবন্দি রেকর্ড করার পর পাটিয়ালা হাউজ কোর্টের বাইরে এম জে আকবর। এক্সেপ্রেস ছবি: তাশি তোবগিয়াল

"আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে মিথ্যে অপবাদ দেওয়া হয়েছে আমার বিরুদ্ধে"। দিল্লির উচ্চ আদালতে বুধবার বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। ৩১ অক্টোবর ছিল তাঁর আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার দিন। প্রিয়া রমানির বিরুদ্ধে আকবরের করা মানহানির মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে ১২ নভেম্বর।

Advertisment

আকবর এ দিন আদালতে বলেন, "মিথ্যে এবং সাজানো অভিযোগ করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে ভোগ পত্রিকায় লেখা প্রতিবেদনে আমার নাম উল্লেখ করেননি প্রিয়া।ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছিল তখন"।  "সাজানো কতগুলো ঘটনায় আমাকে অভিযুক্ত করা হল। আমার পদের সুযোগ না নিয়ে ব্যক্তিগত ক্ষমতায় সুবিচার পাওয়ার জন্যই ক্ষমতা থেকে সরে গেছি আমি", জানিয়েছেন আকবর।

দেশ জুড়ে #MeToo ঝড় ওঠার দিন কয়েকের মধ্যেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তার জেরে মন্ত্রিত্ব থেকে বিদায় নিয়েছেন গত ১৭ অক্টোবর। প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম যে আকবরের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ এনেছিলেন সাংবাদিক প্রিয়া রমানি। রমানির বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলা করেছিলেন আকবর। ১৮ অক্টোবর দিল্লি আদালতে প্রথম মামলা ওঠার  দিন উপস্থিত ছিলেন না তিনি। আজ, বুধবার, আদালতে তাঁর জবানবন্দি দেন আকবর।

এশিয়ান এজ-এর সাংবাদিক প্রিয়া রমানির পর এক এক করে প্রায় কুড়ি জন মহিলা আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। আকবর পালটা রমানির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন। ১৮ অক্টোবর মামলা গ্রহণ করে দিল্লি আদালত। ভারতীয় দন্ডবিধির ৫০০ ধারায় এই মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানায় আদালত। উল্লেখ্য, ভারতীয় দন্ডবিধির ৫০০ ধারা অনুযায়ী, অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে দু’বছরের কারাদন্ড অথবা জরিমানা কিংবা পরিস্থিতির বিচার করে দুটি একই সঙ্গে হতে পারে।

আরও পড়ুন: #MeToo: বিসিসিআই কে চিঠি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের

মহিলা সাংবাদিকদের মধ্যে সর্বপ্রথম প্রিয়া রমানিই আকবরের নাম প্রকাশ্যে এনে অভিযোগ করেন। ৮ অক্টোবর করা এক টুইটে রমানি লেখেন, গত বছর একটি নিবন্ধে তিনি লিখেছিলেন যে এক সম্পাদক চাকরির ইন্টারভিউ-এর জন্য তাঁকে হোটেলের ঘরে ডেকে বিছানায় বসতে বলেন। আর সেই সম্পাদক হলেন এম জে আকবর। রমানির এই অভিযোগের পরই দেশ জুড়ে এবং বিশেষত রাজনৈতিক মহলে হইচই পড়ে যায়।

মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে আকবর বলেছিলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই সব অভিযোগের মোকাবিলা করতে চান। তাই সরকারি পদটি ছাড়ছেন। অন্যদিকে, প্রিয়া রমানি বলেছেন তিনি মানহানির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে প্রস্তুত। যাঁরা আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, তাঁদের  প্রত্যেককে "বিরাট ঝুঁকি" নিতে হয়েছে।

Read the full story in English

Advertisment