হটস্পট বা ভাইরাসের প্রকোপ কম এমনসব জায়গায় আজ থেকেই লকডাউন বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছে। তবে, নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে পারবেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা। কাজের প্রয়োজনে পেরোতে পারবেন না রাজ্যের সীমানা। অতএব, পরিযায়ীরা যে রাজ্যে আছেন, সেখানেই আপাতত তাঁদের থাকতে হবে। তবে, কাজের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যেতে পারবেন পরিয়ায়ী শ্রমিকরা। এক্ষেত্রে তাঁদের বাসে করে কর্মস্থানে পৌঁছাতে সহযোগিতা করবে প্রশাসন। এছাড়াও জানানো হয়েছে, দক্ষতার ভিত্তিতে আশ্রয়দাতা রাজ্যেই কাজ করতে পারবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শারিরীকভাবে সুস্থ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে সহযোগিতা করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকরাগুলো। আশ্রয়দাতা রাজ্য সরকারই আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের দক্ষতার ভিত্তিতে কাজ দেওয়ার চেষ্টা করবে। এর জন্য শ্রমিকদের স্কিল ম্যাপিং করা হবে। সংক্রমিত এলাকার বাইরে লকডাউনের মধ্যেও যেসব কাজে ছাড় রয়েছে সেইসব কাজে লাগানো যেতে পারে পরিয়ায়ী শ্রমিকদের। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের অস্থায়ী আশ্রয়ে থেকে রাজ্য প্রশাসনের কাছে কাজের দাবি জানিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব কাজই হবে মাস্ক ও পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে।
আরও পড়ুন- লকডাউনে কেমন দিন কাটছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর?
লকডাউনে বন্ধ সব কাজ। কর্মহীন অবস্থায় ভিন রাজ্যে আটকে পড়ে চরম দুর্দশায় পরিয়ায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার। বাড়ি ফেরার কোনও উপায় নেই। এই অবস্থায় প্রয়োজনীয় পণ্যের যোগান সচল রাখতে ও গরীবদের হাতে অর্থের যোগান নিশ্চত করতে একশ দিনের কাজ, কৃষি, কৃষিজাত, প্রণিজ সম্পদ উন্নয়ন, গ্রামে নির্মাণ কাজ সহ বেশ কতগুলি ক্ষেত্রে ছাড়ের ঘোষণা করেছে। আজ থেকেই নির্দিষ্ট কয়েকটি কাজের উপর লকডাউন শিথিল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছিল যে, ভিন রাজ্যে আটক পরিযায়ীরা একশদিনের কাজ সহ ছাড়ের আওতাধীন কাজের জন্য যোগ্য বলে বিববেচিত হবেন কিনা? কেন্দ্রীয় এই নির্দেশিকায় সেই প্রশ্নের অবসান ঘটল।
পরিযায়ীরা এক রাজ্য অন্য রাজ্যে যেতে পারবেন না। করোনা সংক্রমণ রুখতেই কেন্দ্রীয় এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে। তবে, বহু জায়গাতেই শ্রমিকদের নিয়ম মেনে রাখার বিষয়ে অপারগতার কথা জানিয়েছে শিল্প সংস্থাগুলো। যেমন, মহারাষ্ট্রের বহু শিল্প সংস্থায় জানিয়ে দিয়েছে, শ্রমিকদের নিজেদেরকেই কাজের জায়গায় পৌঁছাতে হবে। গুজরাট সরকার শ্রমিকদের কাজের জায়গায় পৌঁছানোর আস্বাস দিলেও সেখানেই তাঁদের থেকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। আলোচনা চলছে শিল্প সংস্থাগোলের সঙ্গেও।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন