উপত্যকায় বাড়ছে সন্ত্রাসবাদী হামলা। তাই এবার উপত্যকার ব্যবসায়ীদের দোকানের বাইরে সিসিটিভি ইন্সটলেশনের আদেশ জারি করেছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। আদেশ না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
অনন্তনাগের ডেপুটি কমিশনারের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরা এমনভাবে ইন্সটল করুন যাতে দোকানের প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টে সেই সঙ্গে পার্কিং লটের প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টগুলিকে কভার করে।”সেই সঙ্গে আদেশে বলা হয়েছে প্রতি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিত করতে হবে ইন্সটল করা সিসিটিভি সিস্টেমটি সর্বদা, ২৪X৭, এমনকি যখন প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকে তখনও কার্যকর অবস্থায় থাকে।" শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনারের তরফেও একই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়েছে সিসিটিভি সিস্টেমটি ন্যূনতম ১৯২০ X ১০৮০ রেজোলিউশন সহ ভাল মানের হওয়া উচিত, ন্যূনতম আলোকসজ্জা ০.০১ লাক্স, ৩.৬ মিমি ফোকাল লেন্থ, IR-এ নির্মিত এবং ৩০ দিনের ফুটেজ ধারণ সময়কাল, প্লেব্যাকের পাশাপাশি ডাউনলোড এবং রেকর্ডিংয়ের বৈশিষ্ট্য থাকা বাধ্যতামূলক।” এর পাশাপাশি আদেশে বলা হয়েছে দেশবিরোধী এবং নাশকতামূলক কাজকর্ম বন্ধ করার জন্যই এই ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে’।
আরও পড়ুন: কোটি-কোটি টাকার মাদক কারবারের পর্দা ফাঁস, পুলিশের জালে দম্পতি
যদিও উপত্যকার বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে এই সিসিটিভি ক্যামেরা ইন্সটল রয়েছে। তবে অনেক ছোট ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। তারা বলেছেন ‘এই ধরণের ক্যামেরা ইন্সটল করা তাদের সাধ্যের বাইরে’। বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল এবং মহামারীর পর থেকে ব্যবসায়ীরা সেভাবে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না। শ্রীনগরের একজন টেক্সটাইল দোকানের মালিক বলেছেন, “সরকারের আদেশ মেনে সিসিটিভি ইন্সটল করতে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হবে। আমাদের ব্যবসা গত দু বছর ধরে মার খাচ্ছে এই মুহূর্তে এই টাকা বিনিয়োগ করার মত পুঁজি আমাদের কাছে নেই”। যদিও সরকারি আদেশে এই নির্দেশ অমান্য করায় শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে উপত্যকায় বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যদিও সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই উপত্যকা জুড়ে উচ্চ মানের সিসিটিভি ক্যামেরা ইন্সটল করা হয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যও মিলেছে।
Read story in English