জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা। শ্রীনগরের লালচকের কাছে গ্রেনেড হামলা করে জঙ্গিরা। এই হামলায় ঘটনায় ৫ জনের আহত হয়েছেন। এই হামলার পর পরই হরি সিং হা ইস্ট্রিটে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেয় পুলিশ। জারি রযেছে তল্লাশি অভিযান। শনিবার গ্রেনেড হামলার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় স্থানীয় বাজার।
#Terrorists lobbed a #grenade at #HSH #Street #Srinagar. 05 #civilians injured. All are stated to be #stable. Area under #cordon. #Search in the #area is in progress. @JmuKmrPolice
— Kashmir Zone Police (@KashmirPolice) October 12, 2019
বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। সতর্কতা জারি হয়েছে শ্রীনগর হাইওয়েতেও। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি উত্তেজনার খবর আসছিল। বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেওয়া এবং জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে দুটি পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর গত দু’মাসের মধ্যে এই নিয়ে দু’বার গ্রেনেড হামলা হল উপত্যকায়।
উপত্যকায় সোমবার থেকেই চালু হবে পোস্ট পেড মোবাইল ফোন। জম্মু-কাশ্মীরে সরকারের মুখপাত্র এদিনই এই ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই আংশিকভাবে রাজ্যের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, ভূস্বর্গের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। এই অবস্থায় গ্রেনেড হামলা আতঙ্ক বাড়িয়েছে রাজ্যবাসীর মনে।
আরও পড়ুন: ভূ-স্বর্গকে ছন্দে ফেরাতে বিজ্ঞাপনী বার্তা প্রশাসনের, চালু হচ্ছে মোবাইল পরিষেবা
গত ৫ অক্টোবর দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে ডেপুটি কমিশনারের অফিস লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। যদিও সেই গ্রেনেড ফাটে অফিস চত্বরের বাইরের রাস্তায়। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে স্প্লিনটার ছিটকে গিয়ে জখম হন পথচারীরা।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অন্যতম শীর্ষ কর্তার অফিসের সামনে এমন ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। সেই সময়ে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়, অনন্তনাগকেই জঙ্গিরা তাদের ডেরা বানাতে চাইছে। বেশ কয়েকটি অস্থায়ী ঘাঁটির কথাও বলা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। এ দিন শ্রীনগরের ঘটনা আরও একবার সেই আশঙ্কাকেই উস্কে দিল বলে মনে করছেন অনেকে।
Read the full story in English