আক্রান্ত হলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে আক্রান্ত হয়েছেন এই কৃষক নেতা। তাঁর মুখে কালি ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টিকায়েত। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে হেনস্তা করতেই কর্ণাটকের বিজেপি সরকার এই চক্রান্ত করেছে।
Advertisment
ঘটনার সময় বেঙ্গালুরুর গান্ধী ভবনে টিকায়েতের সংগঠনের সভা চলছিল। সেই সময় সভায় উপস্থিত বেশ কয়েকজন টিকায়েতের বিরুদ্ধে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তাঁরা টিকায়েতের মুখে কালি ছিটিয়ে দেন। টিকায়েতের অনুগামীরা বাধা দিলে তাঁদের মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় গান্ধী ভবনের প্লাস্টিকের চেয়ার।
গোটা ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন টিকায়েত। জনাদু'য়েক সঙ্গী তাঁকে ঘিরে রাখেন। যাতে তাঁর ওপর ফের কোনও আঘাত না-আসে। টিকায়েতের অবশ্য দাবি, এটা তাঁর সংগঠনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নয়। হামলাকারীরা তাঁর সংগঠনের কেউ নন। বাইরের লোক, তাঁর সংগঠনের কর্মীদের পোশাক পরে সভায় ঢুকে পড়েছিল।
এই ব্যাপারে টিকায়েত বলেন, 'স্থানীয় পুলিশই সমস্তটার জন্য দায়ী। যা হওয়ার সবটাই সরকারের সঙ্গে যোগসাজশে হয়েছে।' যদিও, টিকায়েতের এই বক্তব্যের পরও উঠছে প্রশ্ন। টিকায়েতের লোকজন ওই দুষ্কৃতীদের কেন সভায় ঢুকতে দিলেন? দুষ্কৃতীরা সংগঠনের কর্মীদের পোশাক পরে গান্ধী ভবনে ঢুকলেও সংগঠনের কর্মীরা কেন তাঁদের চিনতে পারলেন না? এই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
সোমবার গান্ধীভবনের সমস্ত আসন ভর্তি ছিল। বহু সমর্থক মূল সভাস্থলে ঢুকতে পারেননি। সব আসন পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সভার ঘরে দরজার বাইরে দাঁড়িয়েই তাঁরা টিকায়েতের কথা শুনছিলেন। গন্ডগোল শুরু হওয়ার পর ওই সমর্থকরা পরিস্থিতি সামলাতে সভার হলঘরে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু, টিকায়েতের রক্ষীরা তাঁদের হলঘরের ভিতরে ঢুকতে দেননি। এতে পরিস্থিতির আরও অবনতি রোখা সম্ভব হয়েছে বলেই প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। কালি শুধু তাঁর মুখেই না, কুর্তা, সবুজ শাল, পাগড়ি সবই কালো করে দেয়। ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে।