করোনারোধে দেশের নজরে 'আগ্রা মডেল'। অথচ সেই আগ্রার কোয়ারেন্টিন সেন্টার ঘিরেই নানা অ-ব্যবস্থার ছবি প্রকাশ্যে। সম্প্রতি ভাইরাল এক ভিডিয়ো ক্লিপে দেখা যাচ্ছে যে, কোয়ারেন্টিন সেন্টারের দরজার ভেতরে চিল চিৎকার করছেন ডজন খানেক লোক। সেই সময়ই পিপিই পড়া এক ব্যক্তি দরজার বাইরে থেকে ভিতরে জলের বোতল, বিস্কুটের প্যাকেট ছুঁড়ে দিচ্ছেন। ভাইরাল এই ক্লিপ ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই ভিডিয়ো 'দিন কয়েক আগের' এবং 'বর্তমানে সব ঠিক রয়েছে' বলে বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় যোগী প্রশাসন।
Advertisment
আগ্রায় ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে সারদা গ্রুপের হিন্দুস্তান কলেজে কোয়ান্টিন সেন্টার করে প্রশাসন। ভাইরাল ওই ভিডিয়ো সেখানকার বলেই জানা গিয়েছে। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এক মহিলাকে সেই সেন্টারে পরীক্ষার জন্য আনা হলেও তা হয়নি বলে অভিযোগ। পরে সে ওই ভিডিয়োটি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথম থেকেই এইভাবেই সেন্টারের বাসিন্দাদের খাবার দেওয়া হত বলে জানান স্থানীয়রা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন আগ্রার জেলাশাসক প্রভুনারায়ণ সিং। যদিও তাঁর সাফাই ভিডিয়োটি বেশ কয়েকদিন আগের। বহর্তমানে 'সব ঠিক রয়েছে।' তাঁর কথায়, 'প্রায় চার ঘন্টা খাবার দিতে দেরি হয়। আর সেই সময়েই বাসিন্দারা ওই ধরনের আচরন করেন। বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর পুনরাবৃত্ত হবে না বলেই মনে করি'। এ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্র) অশ্বিনী কুমার অবস্থি বলেছেন, 'ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। ওইদিন খাবর দিতে সামান্য দেরি হয়েছিল, ফলে বাসিন্দারা অস্তির হয়ে উঠেছিলেন।'
অভিযোগ ওঠার পর পরই জেলাশাসক হিন্দুস্তান কলেজটি পরিদর্শন করেছেন। পুরো প্রক্রিয়ায় যে গলদ ছিল তা মেটানো হয়েছে বলে দাবি জেলাশাক প্রভুনারায়ণ সিংয়ের। পুরো বিষয়টি দেখভালের জন্য মুখ্য উন্নয়ন আঘধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ যোদ্ধাদের ভালবাবে কাজ করেত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
রবিবার, আগ্রায় ৩৭২ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। পরিস্থিতির ক্রমশ অবমতির জন্য আগ্রার মেয়র প্রশাসনের কর্মীদেরই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, 'রোগীদের সঠিক সময় সেন্টারে আনা হচ্ছে না, সমন্বয়ের অভাব প্রতিপদে স্পষ্ট হচ্ছে, যা জানিয়ে আগেই মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে চিঠি দিয়েছি।'