Advertisment

পরীক্ষায় পাশ করলেন কেউ, চাকরি করছেন অন্য কেউ? বেতন বন্ধ রেখে শুরু তদন্ত

ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Mismatch in biometric of 47 Tihar jail officials, their salaries withheld

এ এক অবাক কাণ্ড! খোদ জেলের আধিকারিকদের বায়োমেট্রিক ছাপ মিলছে না। সম্প্রতি তিহার জেলে ঘটেছে এই অবাক কাণ্ড! দিল্লি সাবোর্ডিনেট সার্ভিস সিলেকশন বোর্ড (DSSSB) এই পদগুলিতে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নিয়েছিল। সেই পরীক্ষায় পাশ করে যাঁরা এখন তিহার জেলে চাকরি করছেন, তাঁদের ৪৭ জনের বায়োমেট্রিক ছাপ মিলছে না।

Advertisment

অর্থাৎ DSSSB-এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ওই ৪৭ জনের বদলে অন্যরা বর্তমানে তিহার জেলে কর্মরত রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি ওই ৪৭ জন জেল আধিকারিকের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে বিস্তারিত তদন্ত।

গত দু বছর ধরে তিহার জেলে কাজ করছেন এই ৪৭ আধিকারিক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন জেল ওয়ার্ডেন এবং সহকারি সুপারিনটেনডেন্ট পদমর্যাদার অফিসাররা। সেল জুড়ে বন্দীদের নিরাপত্তার বিষয়টির দেখভাল করছেন তাঁরা। অথচ সরকারের একটি যাচাইকরণ অভিযানে তাঁদের বায়োমেট্রিক রেকর্ডে গরমিলের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।

ইতিমধ্যেই ওই ৪৭ জন আধিকারিককে শোকজ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, DSSSB ওই ৪৭ জনকে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- অতিমারির বিরুদ্ধে পরিবারের মতো লড়াই করেছে ভারত: প্রধানমন্ত্রী

উল্লেখ্য, DSSSB এই পদগুলির জন্য নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনা করে। সম্প্রতি তাঁরা দেখেছে, যে জেলার কর্মকর্তা হিসেবে চাঁরা চাকরি করছেন তাঁদের তথ্য রেকর্ডে নেই। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে একটি প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, যাঁরা বাছাই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এবং বর্তমানে যাঁরা তিহারে কর্মরত তাঁদের আঙুলের ছাপ এবং মুখের ছবি আলাদা।

দিল্লি কারাগারের ডিজি সন্দীপ গোয়েল বলেন, “নভেম্বরে DSSSB আমাদের কাছে এসেছিল। চাকরিতে নতুন যোগদানকারীদের একটি বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ প্রক্রিয়া চালাচ্চেন ওঁরা। কারা সদর দফতরে কর্মকর্তাদের স্ক্রিনিং করা হয়। ফলাফলগুলি নিয়োগের সময় DSSSB দ্বারা সংরক্ষিত ডেটার সঙ্গে মিলে গেছে। তবে ৪৭ জনের ডেটার মিল পাওয়া যায়নি।''

Tihar Jail
Advertisment