অবশেষে পাঁচদিন পর এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের দেহ উদ্ধার হল। মহারাষ্ট্রের থানের হাজি মালাং ধর্মীয় স্থানের কাছে একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ কিরণ সংভির দেহ। গত ৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন সিদ্ধার্থ। অন্যদিকে এ ঘটনায় খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই এক ২০ বছর বয়সী যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নভি মুম্বইয়ের কোপেরখারাইন এলাকা থেকে সরফরাজ শেখ নামে এক গাড়ি চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪, ৩৬৪এ, ৩৬৫ ধারায় মামলা রুজু করেছে এনএম জোশি পুলিশ। এ ঘটনা প্রসঙ্গে ডেপুটি কমিশনার তথা মুম্বই পুলিশের মুখপাত্র মঞ্জুনাথ সিঙ্গে বলেন,‘‘কল্যাণ এলাকায় সকালে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে খুনের ধারা যোগ করা হবে।’’ এ ঘটনায় ধৃত ওই চালক বারবার বয়ান বদলেছে বলে দাবি পুলিশের। একটা বয়ানে ধৃত যুবক তিনজনের নাম উল্লেখ করে দাবি করে যে, সিদ্ধার্থ কিরণ সংভিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে তারা। কমলা মিল কম্পাউন্ডের মধ্যে পার্কিং লটে ওই ব্যঙ্ক আধিকারিককে কোপানো হয় বলে দাবি করেছে সে।
আরও পড়ুন, বোমা বিস্ফোরণের ছক: মহারাষ্ট্র এটিএসের জালে আরও ২
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিদ্ধার্থকে কোপানোর পর, তাঁর দেহ তোষকে মুড়ে গাড়িতে রাখা হয়। অন্যদিকে সিদ্ধার্থের দেহ বিকৃত করেছে বলে দাবি করেছে সরফরাজ শেখ। পেশাগত শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। যদিও এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কে, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।
মালাবার হিল অ্যাপার্টমেন্টে স্ত্রী, বাবা-মা ও ৪ বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন সিদ্ধার্থ। চলতি মাসের ৫ তারিখে কমলা মিল কম্পাউন্ড থেকে নিখোঁজ হন তিনি। ওই কম্পাউন্ড থেকে বেরনোর আগে সিদ্ধার্থের ফোন সুইচড অফ ছিল। পরের দিন ৫ মিনিটের জন্য সুইচ অন ছিল তাঁর ফোন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির পিছনের সিট থেকে ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়িতে রক্তের দাগ মিলেছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।