বিলকিস বানোর ধর্ষণকারীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে এবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি গুজরাতের তিন কংগ্রেস বিধায়কের। ধর্ষণকারীদের সাজা মকুবের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চেয়ে দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি বিধায়কদের। ২০০২-এ গুজরাত দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে খুন করা হয়। সেই খুন এবং গণধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয় ১১ জনের। স্বাধীনতা দিবসে ওই ১১ জনকেই মুক্তি দিয়েছে গুজরাত সরকার।
গুজরাতের দরিয়াপুরের কংগ্রেস বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন শেখ, জামালপুরের বিধায়ক ইমরান খেদাওয়ালা ও ওয়াঙ্কানেরের কংগ্রেস বিধায়ক জাভেদ পিরজাদা ১১ জনের এই মুক্তির কড়া নিন্দা করে চিঠি লিখেছেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতিকে। রাষ্ট্রপতি অবিলম্বে যাতে ওই ১১ দোষীর সাজা মকুবের নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও গুজরাত সরকারকে পাল্টা নির্দেশ দেন, সেই আবেদনই জানানো হয়েছে চিঠিতে।
উল্লেখ্য, বিজেপি নেতৃত্বাধীন গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিরোধীরা বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কার্যত শূলে চড়িয়ে সুর চড়াচ্ছেন। বিরোধীদের রোষের মুখে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতেও কংগ্রেসের ওই তিন বিধায়ক মোদীকে নিশানা করেছেন।
আরও পড়ুন- ২৬/১১ ধাঁচে আত্মঘাতী হামলার হুমকি, চূড়ান্ত সতর্কতা মুম্বই জুড়ে
তাঁরা লিখেছেন, ''প্রধানমন্ত্রী নিজে যখন মহিলাদের সম্মানের কথা বলছেন, তখন তাঁর রাজ্যের বিজেপি সরকার পাঁচ মাসের গর্ভবতী মহিলাকে গণধর্ষণে অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'' এই ধরনের অপরাধীদের মুক্তি দিয়ে স্বাগত জানানো অমানবিক একটি বিষয় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ওই তিন কংগ্রেস বিধায়ক।
স্বাধীনতা দিবসে বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারে সদস্যদের খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার। ওই ১১ জন জেল থেকে বেরনোর পর তাঁদের ফুলের মালা পরিয়ে মিষ্টি খাইয়ে সংবর্ধনা দেয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। খুন ও গণধর্ষণে দোষীদের এহেন সংবর্ধনা নিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। একাধিক অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও গুজারেতর এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন।