একেই সিবিআই কাণ্ড নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সেই অস্বস্তি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র স্বর্ণশ্রী রাও রাজশেখরের টুইট। অবশেষে বিতর্কিত টুইটের জেরে শুক্রবার ছুটিতে পাঠানো হল স্বর্ণশ্রী রাওকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে স্বর্ণশ্রী রাও-এর পরিবর্তে কর্নেল আমন আনন্দ দায়িত্ব নিয়েছেন।
বিতর্কের শুরু একটি টুইটকে ঘিরে। হরিয়ানার পঞ্চকুলার চণ্ডীমন্দিরে সেনার ওয়েস্টার্ন কমান্ডের ইন্টারন্যাল ফাইনান্সিয়াল অ্যাডভাইসারের নিজের গাড়িতে সেনাবাহিনীর প্রতীক লাগানো হয়েছিল। ওই আধিকারিক সেনাবাহিনীর সদস্য না হয়েও সেনার প্রতীক ব্যবহার করেন কী ভাবে, তাই নিয়েই বিতর্ক ছড়ায়।
আরও পড়ুন, উনিশের ভোটযুদ্ধে বিহারে এনডিএ-র ঘরে কি দ্বন্দ্ব?
টুইটে সরব হন প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান অরুণ প্রকাশ। তিনি লেখেন, অসামরিক ব্যক্তি হয়ে সেনার প্রতীক ব্যবহার করাটা যদি অপরাধ বলে গণ্য নাও হয়, তবু ওই ব্যক্তি যার অধীনে রয়েছেন তাঁরই উচিত বিষয়টি সম্পর্কে তাঁকে ওয়াকিবহল করা।
নৌসেনার ওই টুইটের পরই পাল্টা টুইট করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র স্বর্ণশ্রী রাও। প্রাক্তন নৌসেনা প্রধানের ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে তিনি বেছে নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রকের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল। অ্যাডমিরাল অরুণ প্রকাশের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘প্রতীকের অপব্যবাহারের কথা বলছেন? আপনার মেয়াদকালে বাড়িতে জওয়ানদের যে কাজে ব্যবহার করতেন, সেই প্রসঙ্গে কী বলবেন? ফৌজিরা যখন আপনার ছেলেমেয়েদের সেনার গাড়িতে স্কুল দিয়ে আসেন নিয়ে আসেন তখন কী হয়? সরকারি গাড়িতে ম্যাডামের শপিং করতে যাওয়াটাও মাথায় রাখবেন। যখন তখন পার্টি তো লেগেই আছে। ওইসবের জন্য কে টাকা দেয়?’
প্রসঙ্গত, অ্যাডমিরাল প্রকাশ দেশের প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান ছাড়াও চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৬ সালে দায়িত্ব থেকে অবসর নেন। অন্য দিকে রাজশেখর ইন্ডিয়ান ডিফেন্স অ্যাকাউন্ট সার্ভিসের আধিকারিক। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন তাঁকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন।
Read the full story in English