Advertisment

মোদীর ২০ লক্ষ কোটি প্যাকেজের ১১ ঘোষণা আগে থেকেই চালু রয়েছে, তাহলে!

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজের তৃতীয় ধাপে কৃষি, দুগ্ধ শিল্প,পশুপালন, মৎস্যক্ষেত্রের জন্য একাধিক ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনার জেরে ধুঁকছে ভারতীয় অর্থনীতি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজের তৃতীয় ধাপে কৃষি, দুগ্ধ শিল্প,পশুপালন, মৎস্যক্ষেত্রের জন্য একাধিক ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের জন্য ১১ দফা প্রস্তাব ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কিন্তু, তা দিয়ে কি সমস্যার সমাধান হবে? খতিয়ে দেখলে স্পষ্ট যে, ১১ প্রস্তাবের মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতিমধ্যেই পেশ করা হয়েছিল, বাকিগুলি নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই সরকারিস্তরে আলোচনা চলছে।

Advertisment

নির্মলা সীতারমন কৃষি ক্ষেত্রে যে ১১ দফা প্রস্তাব পেশ কয়েছেন তার তিনটি সংস্কারমূলক। এর মধ্যে রয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন ১৯৫৫ ও কেন্দ্রীয় আইনের মাধ্যমে কৃষি বিপণনের সংস্কারও। এগুলি আগেই মোদী সরকারের বাজেটের অংশ ছিল।

সীতারনমন বলেন যে, কৃষি পরিকাঠামোয় ১ লক্ষ কোটির তহবিল গঠন করা হয়েছে। ক্ষুদ্র খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থার জন্য ১০ হাজার কোটি, গবাদি পশু টিকাকরণ, অপরেশন গ্রিনস বা সবুজ অভিযানের পরিধি প্রসারিত করে অআলু, টমেটো, পিঁয়াজকেও তার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মৎস সম্পদ যোজনায় মৎসচাষীদের সহায়তা, পশুপালন পরিকাঠামো ও ভেষজ কৃষি প্রচার যথাক্রমে ১৫ ও ৪ হাজার কোটি, মৌমাছি পালনে ৫০০ কোটির প্রকল্প ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে বেশিরভাগই মোদী সরকারের পূর্ব প্রতিশ্রুতির অংশ।

২০১৯ সালের ৫ জুলাই অর্থমন্ত্রী প্রথম বাজেট বক্তৃতাতেই সীতাররমন বলেছিলেন, 'কৃষি উৎপাদন বিপণন কমিটি আইন কৃষকদের ন্যায্য দাম পেতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।'

এর আগে অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন অরুণ জেটলি বারংবার কৃষি উৎপাদন বিপণন কমিটি আইন সংস্কারের উপর জোর দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁর প্রথম বাজেট বক্তৃতায় জেটলি বলেছিলেন যে, 'জাতীয়স্তরে দ্রুত বাজার তৈরির জন্য রাজ্যগুলির কৃষি উৎপাদন বিপণন কমিটি আইনে অদলবদল করা প্রয়োজন। তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। শহরে প্রত্যক্ষভাবে কৃষকরা যাতে পণ্য বিক্রির করতে পারেন তার জন্য কৃষক বাজার গড়ে তুলতেও রাজ্যগলিকে উৎসাহীত করা হবে।' ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের বাজেটে ফের একবার এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন জেটলি।

নীতি আয়োগের (২০১৯) বৈঠকে এ বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কৃষি অর্থনীতিতে মৌলিক সংস্কারের কথা বলেন তিনি।

গবাদি পশুর পা ও মুখের রোগ সম্পর্কিত প্রকল্পটি জাতীয় প্রাণী রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ইতিমধ্যে বিদ্যমান। এই প্রকল্প গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১১২,৬৫২ কোটি ব্যয়ে চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এ বছর ১ ফেব্রুয়ারির বাজেট বক্তৃতায় বিষয়টির উল্লেখ করেছিলেন সীতারমন। এর জন্য ১৩,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে করে তিনি বলেছিলেন, 'আমাদের সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ভেড়া ও ছাগলের পা বও পেটের রোগের সমস্যা দূরীকরণ করতে চায়।'

publive-image ২০ লক্ষ কোটি প্যাকেজের তৃতীয় কিস্তি: কৃষিতে ১ লক্ষ কোটি বরাদ্দ, কৃষিজ পণ্য বিক্রিতে নয়া আইন

অপারেশন গ্রিনসের মাধ্যমে ফল, শাকসব্জির উৎপাদন বৃদ্ধির কথা জেটলি ২০১৮-১৯ সালের বাজেটের বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। ‘অপারেশন ফ্লাডের’ আদলে ‘অপারেশন গ্রিনসের’জন্য ৫০০ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী মৎস সম্পদ যোজনায় মৎস চাষীদের সুবিধান বিষয়টি ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের বাজেটের অন্তর্ভুক্ত। তখন সীতারমন বলেছিলেন, 'এই প্রকল্পের মাধ্যমে মৎস দফতর শক্তিশালী ফিশারি ম্যানেজমেন্ট কাঠামো গড়ে তুলবে। এটি পরিকাঠামো ও তার আধুনিকীকরণ, ট্রেসেবিলিটি, উৎপাদন, উৎপাদিত পণ্য, উৎপাদিত পণ্যের ব্যবস্থাপনা, এবং মান নিয়ন্ত্রণ সহ মান শৃঙ্খলার জটিল ফাঁকগুলিকে সমাধান করবে।'

৪হাজার কোটির কোটি টাকার ভেষজ চাষের পরিকল্পনার আওতায়, ন্যাশনাল মেডিলসিনাল প্লান্টস বোর্ড গঙ্গার তীরে ৮০০ হেক্টর জমিতে ভেষজ উদ্ভিদ উৎপাদন করবে। মৌমাছি পালন প্রকল্পটি দু'লক্ষ মউমাছি পালকদের সহায়তা করবে।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

PM Narendra Modi Nirmala Sitharaman
Advertisment