বিচারপতি নিয়োগে শেষ পর্যন্ত কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে নিল মোদী সরকার। শীর্ষ আদালতে পাঁচ জন বিচারপতি নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। সুপারিশের নামগুলো নিয়ে মোদী সরকারের তীব্র আপত্তি ছিল। এনিয়ে আদালত ও বিচার বিভাগের মধ্যে টানাপোড়েন ক্রমশ বাড়ছিল। যার জেরে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে। এবার সেই অবস্থান থেকে পিছু হঠে মোদী সরকার কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ায় উভয়পক্ষের বিবাদে আপাতত ইতি পড়ল।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও) ২ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বিচারপতির নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছে। তারপর, ওই বিচারপতিদের নিয়োগের সুপারিশ রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠিয়েও দিয়েছে। এবার রাষ্ট্রপতি সেই সুপারিশে ছাড়পত্র দিয়ে স্বাক্ষর করলেই নতুন পাঁচ বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হবেন। গত ১৩ ডিসেম্বর, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের প্রধান, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ বিচারপতির নিয়োগে সুপারিশ করেছিলেন।
এই পাঁচ বিচারপতি হলেন- রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পঙ্কজ মিঠাল, পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় করোল, মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার, পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতি আসাউদ্দিন আমানুল্লাহ ও এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মনোজ মিশ্র। রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রের সুপারিশ মেনে নেওয়ার পর আগামী সপ্তাহের গোড়ায় নতুন বিচারপতিরা শপথ নিতে পারেন বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- বিল গেটসের ভুয়সী প্রশংসা মোদীর, কারণ জানলে চমকে যাবেন!
সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম তিন দিন আগেই বিচারপতি পদে নতুন করে আরও দু'জনের নাম সুপারিশ করেছিল। এটা একটা ব্যতিক্রম। কারণ, সাধারণত যতক্ষণ না আগের সুপারিশ কার্যকর হয়, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নতুন কোনও সুপারিশ করে না। কিন্তু, সেই নিয়ম সরিয়ে রেখে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম গত ৩১ জানুয়ারি, শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের নাম সুপারিশ করেছিল। আর, তারপরই কলেজিয়ামের নিয়োগের সুপারিশে ছাড়পত্র দিল মোদী সরকার।
Read full story in English