আগেই রাজ্যগুলিকে ব্যাপকহারে করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। এবার দেশজুডে় প্রতিদিন এক লক্ষ করোনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হল। ৩১ মের মধ্যে এই লক্ষ পূরণের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে রোজে ভারতজুড়ে ১৫ হাজার করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের ভিডিও বৈঠকেই লক্ষ্যমাত্রার কথা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
Advertisment
করোনার পরীক্ষার ল্যাবোরেটরির সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে যে, ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে ২২০ ল্যাবোরেটরি রয়েছে। এ মাসের শেষ পর্যন্ত সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০০ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশে করোনা পরীক্ষার ল্যাবোরেটরি আরও ৮০টি বাড়ানো হবে।
মন্ত্রকের রিপোর্টেই স্পষ্ট যে, গত পাঁচ দিনের পরিসংখ্যানে করোনা সংক্রমণের হার শতাংশের বিচারে রাজস্থান, কেরালা, তেলেঙ্গানায় অনেকটাই কম। তবে এই সময়কালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে এইসব রাজ্যে। তবে, যেহারে আগে বেড়েছিল তা তুলনায় বেশ খানিকটা কমে গিয়েছে। আবার, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশে শতাংশের বিচারেও বেড়েছে সংক্রমণ। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ১৪২টি এলাকাকে হটস্পটের তালিকাভূক্ত করেছিল। ৬০টি জেলার প্রত্যেকটি থেকে থেকে ১৫ জনেরও বেশি করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে- এগুলোকে সংক্রমণের তীব্র প্রকোপযুক্ত এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। যে ৮২ জেলায় ১৫ জনের কম করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে- সেগুলিকে করোনার কম প্রকোপযুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ৭৫ ল্যাবোরেটরিতে প্রত্যেকদিন ১,২০০ নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। যা মোট ১৫ হাজার। ২রা এপ্রিলের পর ল্যাবোরেটরির সংখ্যা বেড়ে হয় ১৯০, সেক্ষেত্রে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা রোজ বেড়ে হয়েছে ৭,৮০০। বর্তমামে প্রত্যেক দিন করোনা পরীক্ষা হচ্ছে ১৫ হাজার করে।
প্রথমদিকে উপসর্গ দেখা দিলেই করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। কিন্তু, পরে সরকার নীতি বদল করে। বর্তমানে রক্তের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করেও করোনা পজেটিভ কিনা তা নির্ণয় করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দেশে নির্দিষ্টভাবে ৫৮৬টি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। ১.০৪ লাখ আইসোলেশন শয্যা, ১১,৮০০ আইসিইউ শয্যা ও ৬,৪০০ ভেন্টিলেটর রয়েছে। সরকার জানিয়েছে যে, করোনা যোদ্ধাদের জন্য ২.৮৪ লাখ পিপিই কিটের মধ্যে ২.৭ লক্ষ কিট ৩০ এপ্রিলের মধ্যে দেওয়া হবে। মাসের শেষে এন-৯৫ মাস্ক দেওয়া হবে ২৮.৮৪ লাখ।