লকডাউনের আগে দেশে যেখানে তিন দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল, সেখানে এখন সময় লাগছে ছ'দিনেরও বেশি। সেরে ওঠা করোনা রোগী ও করোনায় মৃত্যুর অনুপাতের নিরিখে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত অনেক ভাল জায়গায় রয়েছে বলেও দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগারওয়াল বলেছেন, 'লকডাউনের আগে তিন দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল। বর্তমানে তা হচ্ছে ৬.২ দিনে। করোনা সংক্রমণের হার ১৯ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে জাতীয় গড়ের চেয়েও কম।'
যেসব রাজ্য ও কেন্দ্র সাসিত অঞ্চসে করোনা সংক্রমণের হার কম সেগুলি হল, কেরালা, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, পুদুচেরি, চণ্ডীগড়, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, আসাম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটক।
আরও পড়ুন- ভারতে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা পাঁচশ ছুঁই ছুঁই
শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘণ্টায় গোটা দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০০৭ জন। মৃত্যু হয় ২৩ জনের। দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা সাড়ে ১২৩ হাজারের উপর। গত কয়েক দিনে রোজ গড়ে হাজার জনের কাছাকাছি মানুষ করোনা পজেটিভ হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র কেন সংক্রমণ কমেছে বলে দাবি করছে? জবাবে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল বলেন, 'মার্চের শেষ পনেরো দিনে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ছিল ২.১ শতাংশ। এপ্রিলের প্রথম পনেরো দিনে তা কমে হয়েছে ১.২ শতাংশ। নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশের হ্রাস পেয়েছে। লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সঙ্গেই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ার ফলেই দেশে সংক্রমণের হার কমেছে।'
করোনা প্রতিরোধে বিসিজি টিকা কার্যকরী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, ওই টিকা পরীক্ষার ফলাফল নির্ণয়ের আগে প্রয়োগের সুপারিশ করা হবে না বলে জানিয়েছেন আইসিএমআর কর্তা ডঃ গঙ্গাখেদকর। তাঁর কথায়, 'আগামী সপ্তাহে আইসিএমআর বিসিজি টিকা নিয়ে পরীক্ষা করবে। পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত সংস্থার তরফে কাউকে ওই টিকা নিতে সুপারিশ করা হবে না।'
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন