প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ১৪ সেপ্টেম্বর সমরখন্দ পৌঁছাবেন। সেখানে ১৫ এবং ১৬ সেপ্টেম্বর এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সম্মেলন শেষে ওই দিনই দেশে ফেরার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। উজবেকিস্তানের সমরখন্দে দুই দিনব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলনে সব সদস্য দেশের রাষ্ট্র নায়করা যোগ দেবেন। চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান SCO-এর পূর্ণ সদস্য।
করোনা আবহে ২ বছর পর এটি হবে প্রথম মুখোমুখি সম্মেলন। সূত্রের খবর, ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সমরকন্দে পৌঁছানোর কথা এবং ১৬ সেপ্টেম্বর ভারতে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে এবছরই উজবেকিস্তানের থেকে এসসিও-র সভাপতিত্ব পাবে ভারত। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাত করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি ভারত আগামী বছর SCO শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছে। সেই সম্মেলনে রাশিয়া, চীন এবং পাকিস্তানের মত দেশ আলোচনায় অংশ নেবেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এদিকে গালওয়ান সংঘর্ষের পর সাংহাই কর্পোরেশন অর্গনাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে মুখোমুখি হতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর আগে ২০১৭ সালের ৭ জুলাই জি-২০ সম্মেলনের মাঝে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন মোদী জিনপিং। সেবারে ডোকলাম সংঘাত মিটিয়ে নিয়েছিলেন দুই নেতা।
আরও পড়ুন: < টাকা হাতাতে সিরাম সিইও’র WhatsApp হ্যাক! নাটকীয় থ্রিলারে মুহূর্তেই গায়েব সংস্থার কোটি টাকা >
পুতিন, জিনপিং-শাহবাজের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়াও এই সম্মেলনে যোগ দেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়ে এখনো কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মেলেনি। এটি উল্লেখযোগ্য যে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী শেষবার মিলিত হয়েছিলেন ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনের সময়।
ইউক্রেন ও আফগানিস্তান ইস্যু উঠবে!
সূত্রের খবর, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরীফের সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। সূত্র মারফৎ খবর অনুসারে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিশ্বে এর কুপ্রভাব নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া তালেবান দখলের পর আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে।