মারণফাঁদ ব্লু হোয়েল গেমের পর স্যোশাল দুনিয়ার নতুন আতঙ্ক মোমো চ্যালেঞ্জ। বেশ কিছুদিন ধরেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে মোমো চ্যালেঞ্জ গেমটি। এবার এই গেম হানা দিল খোদ জলপাইগুড়ির খরদাপাড়ার এক তরুণীর ফোনে। সূত্রের খবর, হঠাৎই একটি অদ্ভুত নম্বর থেকে তাঁর ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ আসে। ভয় পেয়ে তৎক্ষনাৎ ওই তরুণী ঘটনাটি তাঁর বান্ধবী এবং বাড়ির লোককে জানান। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে মোমো চ্যালেঞ্জের আরও এক শিকার হলো ভারতেরই আরেক কিশোরী। এই প্রাণঘাতী গেমের কবলে পড়ে মৃত্যু হল রাজস্থানের ক্লাস টেনের এক ছাত্রীর। আজমেরের বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই মোমো চ্যালেঞ্জ গেমটি খেলছিল সে, এবং খেলার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেও গিয়েছিল। বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, তাঁরাও ফোনে প্রায়ই নাবালিকাটিকে গেম খেলতে দেখেছিলেন। তবে সেভাবে সন্দেহ না হওয়ায় কোনও খোঁজখবর নেননি তাঁরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মোমো চ্যালেঞ্জ, হোয়াটসঅ্যাপের নয়া মৃত্যু ফাঁদে আপনি পা দেননি তো?
কিছুদিন আগে আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস টাইমস সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, প্রথম আর্জেন্টিনায় একটি ১২ বছরের মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় তার বাড়ির পেছনের একটি গাছ থেকে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তার ফোনের তথ্য পরীক্ষা করে দেখার পর মনে করা হচ্ছে, মোমো চ্যালেঞ্জের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো সহ ইউরোপ ও আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হলেও এশিয়াতে কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই গেমের প্রাদুর্ভাব ছিল না। অদূর ভবিষ্যতে এই মারণ গেম ভাইরাল হয়ে ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিভিন্ন দেশের সাইবার ক্রাইম সেল।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে মোমো সুইসাইড চ্যালেঞ্জ গেম-এর নির্দেশিকা। ইউটিউবেই আপলোড করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ‘ইনস্ট্রাকশন’ ভিডিও। এমনকী, এই সব ইনস্ট্রাকশন ভিডিও-য় দেওয়া রয়েছে অদ্ভুত কিছু কন্ট্যাক্ট নম্বরও। তবে এই বিষয় নিয়ে তৎপর হয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় সতর্কবার্তাও জারি করেছে তারা।জানিয়েছে, কোনরকম অদ্ভুত আচরণ দেখলেই তা সত্ত্বর পুলিশ কে জানানো আবশ্যক।