গায়ক-অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার দেহ থেকে উদ্ধার হল ২৪টি বুলেট। ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে, বুলেটগুলোর বেশিরভাগই তাঁর বুক এবং পেটে ঢুকেছিল। গত ২৯ মে মানসা জেলাতেই গুলিবিদ্ধ হন এই জনপ্রিয় গায়ক। মানসাতেই মুসেওয়ালার পৈতৃক বাড়ি। মঙ্গলবার নিজের গ্রামে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় থাকতে গ্রামবাসীদের পাশাপাশি আশপাশ থেকেও মুসেওয়ালার অনুগামীরা এসেছিলেন। যার ফলে বাড়ির সামনে ভিড় জমে যায়। ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে।
তবে, তাঁর ভক্তদের দমানো সম্ভব হয়নি। তাঁরা পুলিশ এবং পঞ্জাব সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। মুসেওয়ালার খুনিদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। খুন হওয়ার পর থেকে মুসলেওয়ালার দেহ ছিল মানসা নাগরিক হাসপাতালের মর্গে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪৫ নাগাদ মর্গ থেকেই শববাহী যানে তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় বাড়িতে। দিল্লির তিহার জেলে বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও কানাডায় পলাতক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার ইতিমধ্যেই মুসেওয়ালাকে খুনের দায় স্বীকার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মুসেওয়ালার মাথা এবং উরুতেও গুলি লেগেছিল। রবিবার খুন হওয়ার সময় তাঁর গাড়ি ছিল বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে জওহারকে গ্রামের কাছে। মঙ্গলবার, অন্ত্যেষ্টির সময় প্রথা মেনে মুসেওয়ালার বাবা বলকার সিং নিজের পাগড়ি খুলে নেন। পঞ্জাব পুলিশ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, মুসেওয়ালার খুনিদের ছাড়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, বিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের অভিযোগ, রাজ্য সরকার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার জেরেই মুসেওয়ালা খুন হয়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘জৈনের গ্রেফতারি আসলে প্রতারণা’, ইডির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ কেজরিওয়ালের
যদিও ভগবন্ত মানের সরকার এরপরই জানিয়ে দেয়, মুসেওয়ালার নিরাপত্তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি। তাঁর কাছে দু'জন সরকারি কমান্ডো ছিল। পাশাপাশি, তাঁর গাড়িতেই ছিলেন তিন সশস্ত্র দেহরক্ষী। তাঁদেরও গুলি লেগেছে। একইসঙ্গে, মুসেওয়ালার পিছনে ছিল তাঁর আরেক রক্ষীদলের গাড়ি। মুসেওয়ালার নিজের কাছেও অস্ত্র ছিল। ফলে, তিনি কোনওমতেই নিরস্ত্র ছিলেন না। ঘটনার সময় তিনি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে পুলিশ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রীতিমতো রেকি করে মুসেওয়ালাকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা।
Read full story in English