গুজরাটের মোরবিতে ব্রিজ বিপর্যয়ের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তদন্তে নেমে পুলিশ মোরবি পুরসভার প্রধান অফিসার সন্দীপসিংহ জালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেই জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে 'ওরেভা' গ্রুপের নিযুক্ত বেসরকারি ঠিকাদাররা ব্রিজটির সংস্কারের ক্ষেত্রে কোনও বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন করেনি। এমনকী ব্রিজটির সংস্কার ও মেরামতের সময় কোনও ধরনের কাঠামোগত স্থিতিশীলতাও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।
মোরবি জেলা পুলিশ সুপার পি এ জালার নেতৃত্বে এই বিরাট বিপর্যের তদন্ত চলছে। এসপি ডেকে পাঠিয়েছিলেন মেরাবি পুরসভার প্রধান অফিসার সন্দীপসিং জালাকে। ওই পুর অফিসারকে প্রায় চার ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। মোরবির ঝুলন্ত ওই সেতুর চুক্তি সম্পর্কিত নথিপত্র যাচাই করে দেখেছে পুলিশ।
ব্রিজ বিপর্যয়ের তদন্তের বিষয়ে ওয়াকিবহাল সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মোরবির সেতুটির সংস্কারের কাজে 'ওরেভা' গ্রুপ দেব প্রকাশ ফেব্রিকেশন লিমিটেড নামে এক সংস্থাকে নিযুক্ত করেছিল। কোন ধরনের বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন ছাড়াই ওই সংস্থা ব্রিজ সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছিল। মোরবির পুলিস সুপার পি এ জালা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ওই সংস্থা ব্রিজের কাঠামোগত স্থিতিশীলতা নিয়ে কোনও পরীক্ষা বা মূল্যায়ন করেনি।
আরও পড়ুন- শরিফের পাশেই জিনপিং, পাকিস্তানকে আঙুল ধরে উন্নয়নের পথে হাঁটানোর আশ্বাস চিনের
অন্যদিকে, বুধবার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জেনেছে সংস্কারের জন্যই ব্রিজটি সাত মাসের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। চলতি বছরের মার্চ মাসে ওরেভা গ্রুপের একটি অংশ অজন্তা ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে মোরবি পুরসভা ১৫ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করে ওই ব্রিজ সংস্কারে জন্য।
এই ব্রিজ বিপর্যয়ের জেরে ধৃত দুই ওরেভা ম্যানেজার দীপক নাবিন্দচন্দ্র পারেখ এবং দীনেশ মহাসুখরাই দাভে-সহ নিযুক্ত দুই ঠিকাদার সংস্থার মালিক পারমার ভাইদের ৫ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ব্রিজের নিরাপত্তারক্ষী এবং টিকিট ক্লার্ক-সহ ৯ জনকে আইপিসি-র অন্যান্য ধারাগুলি ছাড়াও অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।