ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের সর্বশেষ রিপোর্টে দেখা গিয়েছে দেশে ক্রমেই বাড়ছে অ্যানিমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা। রক্তাল্পতায় আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু থেকে গর্ভবতী মহিলারা। ডেটা অনুসারে দেখা গিয়েছে ২০১৬-১৬ সালে এই হার ছিল ৫৮.৬ শতাংশ। বর্তমানে এই হার বেড়ে হয়েছে ৬৭ শতাংশ।
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও এই সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। ডেটা অনুসারে দেখা যাচ্ছে ৫৭% মহিলা এবং ২৫% পুরুষ রক্তাল্পতায় আক্রান্ত। অ্যানিমিয়ার প্রকোপ ২০২১৫-১৬ সাল থেকে ২০১৯-২১ সালে বেড়েছে অনেকটাই। যা নিয়ে রীতিমত চিন্তিত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
পরিসংখ্যানগুলি অ্যানিমিয়া মুক্ত ভারতের জন্য এক বড় বাঁধা মনে করছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। ডাঃ সুপর্ণা ঘোষ বলেন, আয়রন হিমোগ্লোবিনের একটি মূল উপাদান, এবং বিশ্বব্যাপী রক্তাল্পতার অর্ধেকের বেশি আয়রনের ঘাটতির কারণে হয়ে থাকে। অ্যানিমিয়ার অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে ম্যালেরিয়া, পুষ্টির ঘাটতি, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ এবং জেনেটিক অবস্থা।
ডাঃ ঘোষ বলেন এর পিছনে এক সামাজিক প্রেক্ষাপটও জুড়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ডেটা অনুসারে দেখা গিয়েছে পরিবারের অন্য সদস্যদের তুলনায় মহিলারা আয়রন জাতীয় খাবার কম খান। এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো পরিবেশগত কারণও দায়ী। সামগ্রিকভাবে, ৬৭% শিশুর মধ্যে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালেই ৫ টাকার বিনিময়ে মিলবে তিন বেলার খাবার, অভিনব ভাবনা এই রাজ্যের!
২৯ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রে মাইল্ড অ্যানিমিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। ৩৫ মাসের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে রক্তাল্পতার প্রকোপ সব থেকে বেশি। ৬ থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত শিশুদের মধ্যে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ সব থেকে বেশি গুজরাটে (৮০ শতাংশ), তারপর মধ্যপ্রদেশ (৭৩ শতাংশ), রাজস্থান (৭২ শতাংশ) এবং পাঞ্জাব (৭১ শতাংশ) লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (ইউটি) ৯৪ শতাংশের অ্যানিমিয়ার সর্বাধিক প্রকোপ দেখতে পাওয়া গেছে।
উচ্চ রক্তাল্পতার প্রবণতা রয়েছে এমন অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে দাদরা এবং নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ (৭৬ শতাংশ), এবং জম্মু ও কাশ্মীর (৭৩ শতাংশ)। অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কম কেরালায়। মাত্র ৩৯% এরপর রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (৪০ শতাংশ), এবং নাগাল্যান্ড এবং মণিপুর (৪৩ শতাংশ)। ইতিমধ্যে, ভারতে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৫৭ শতাংশ মহিলা এবং ২৫ শতাংশ পুরুষ রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছেন।
Read full story in English