কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং পুনেতে কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR) এবং বেসরকারী সংস্থা KPIT লিমিটেড দ্বারা তৈরি ভারতের প্রথম দেশীয় হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল বাস উন্মোচন করেছেন।
মন্ত্রী আরও জোর দিয়েছিলেন যে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 'হাইড্রোজেন ভিশন' দেশকে "আত্মনির্ভর" (স্বনির্ভর) করে তুলতে সেই সঙ্গে, জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্যগুলি পূরণ করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরি্তেও নজির গড়বে। ফুয়েল সেল হাইড্রোজেন এবং বাতাসকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে, যার একমাত্র বর্জ্য হল জল, যার ফলে এটি সম্ভবত সবচেয়ে পরিবেশ-বান্ধব পরিবহনের মাধ্যম হয়ে ওঠে, সিংকে উদ্ধৃত করে একটি রিলিজ জানিয়েছে।
তুলনা করার জন্য, দূরের রুটে চলাচলকারী একটি একক ডিজেল বাস সাধারণত বার্ষিক ১০০ টন CO2 নির্গত করে এবং ভারতে এমন এক মিলিয়নেরও বেশি বাস রয়েছে, রিলিজে বলা হয়েছে । মন্ত্রী বলেন, “ হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল চালিত পরিবহনের অপারেশনাল খরচ ডিজেলে চালিত পরিবহনের তুলনায় কম এবং এটি দেশে পরিবহনের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে”।
আরও পড়ুন: < 5G পরিষেবায় আরও বাড়বে রিচার্জের দাম, কী বলছে রিপোর্ট?>
তিনি আরও বলেন, "ডিজেল চালিত ভারী যানবাহন থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৪ শতাংশ CO2 নির্গমন আসে। হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল যানবাহনগুলি দূষণ দূর করার এক চমৎকার উপায়,"। বর্তমানে জাপান, সাউথ কোরিয়া, আমেরিকা এবং জার্মানির মতো দেশগুলিতে হাইড্রোজেন ফুয়েল দ্বারা চালিত বাস এবং গাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। ফসিল ফুয়েলের মাধ্যমে চালিত গাড়িগুলি বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে কার্বন মনোক্সাইড, সালফার-ডাই-অক্সাইডের মতো ক্ষতিকারক গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন করে। সেখানে পরিবেশবান্ধব HFC টেকনোলজি দ্বারা চালিত গাড়িগুলি থেকে বাইপ্রোডাক্ট হিসেলে জল নির্গত হয়।
আরও পড়ুন: < WhatsApp-এর মাধ্যমে সহজেই Uber বুক করুন, জানুন পদ্ধতি >
সেক্ষেত্রে যানবাহন থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণের মাত্রা হ্রাস করে পরিবেশ দূষণমুক্ত করে তোলা যাবে মত পরিবেশবিদদের। হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল উৎপাদন করা বেশ খরচসাপেক্ষ। একই সঙ্গে হাইড্রোজেন উৎপাদন, মজুদ এবং সরবরাহ করাও বেশ কঠিন। তবে এই বাঁধাগুলিকে দূর করে কীভাবে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল পরিবহন বাড়িয়ে তোলা যায় সেদিকেই নজর দিচ্ছে কেন্দ্র।