Advertisment

৩৭০ ধারা রদের সমর্থনে মিছিলে হাঁটার নির্দেশ বদোদরার বিশ্ববিদ্যালয়ের

কেন হঠাৎ এই ধরণের নির্দেশিকা? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে এমএস বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রেজিস্ট্রার এনকে ওঝা বলেন, "আমরা এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রেজিস্টার্ড পড়ুয়াদেরকেই অনুরোধ করেছি মাত্র।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদকে সমর্থন করে ভারত একতা যাত্রায় হাঁটতে নির্দেশিতা জারি করতে হল বদোদরার এমএস বিশ্ববিদ্যালয়কে। যা ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, অ-শিক্ষক কর্মচারীদের কেন এই ধরণের নির্দেশ চাপিয়ে দেওয়া হবে তা নিয়ে সরব বিরোধীরা।

Advertisment

রবিবার এমএস বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল ভারত একতা যাত্রা। দেশ গঠনের কথা বলে এই কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। পডুয়া থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা, নাগরিক সমাজকেও এতে যোগ দিতে বলা হয়। জানানো হয়, দেশের ভিত্তি মজবুত করতে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করেছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেই হবে যাত্রা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কাছে খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রকে সুপ্রিম নির্দেশ: জাতীয় স্বার্থে উপত্যকাকে এবার স্বাভাবিক করুন

কেন হঠাৎ এই ধরণের নির্দেশিকা? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে এমএস বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রেজিস্ট্রার এনকে ওঝা বলেন, "আমরা এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রেজিস্টার্ড পড়ুয়াদেরকেই অনুরোধ করি। শ্রেণি শিক্ষক ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেই বার্তা পাঠানো হয়েছিল।" যাত্রায় যোগ দিতে কাউকে জোর করা হয়নি বলে দাবি করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও শাসক শিবির বিজেপির এক নেতা। কিন্তু, কেন ৩৭০ ধারা রদের বিষয়টি বলা হলো, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি।

রবিবারের এই যাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ছাড়াও বেশ কয়েকটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা।

আরও পড়ুন: প্রয়োজনে জম্মু কাশ্মীরে যেতে পারি: প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ

একতা যাত্রায় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি বলেন, "বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে কাশ্মীরে। যে সুযোগে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মাথা চাড়া দিয়েছিল। ৩৭০ রদের পর সেই অবস্থার বদল হবে। কাশ্মীরে কর্মসংস্থানের একাধিক সুযোগ তৈরি হবে।"

এমএস বিশ্ববিদ্যালয়ের এহেন নির্দেশিকার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন কংগ্রেস নেতা কপিল যোশী। তাঁর অভিযোগ, "সবাইকে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা নোটিস পেশ করে বলা যেত। কিন্তু, তা না করে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর পিছনে কী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।"

Read the full story in English

jammu and kashmir
Advertisment