মহম্মদ আলি জিন্নাকে ‘মহাপুরুষ’ অ্যাখ্যা দিয়ে এবার দলের অস্বস্তি বাড়ালেন বিজেপি সাংসদ সাবিত্রী বাই ফুলে। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক এখন তুঙ্গে । সেই বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খুলতে গিয়ে জিন্নাকে মহান ব্যক্তি বলে বর্ণনা করলেন বিজেপি সাংসদ। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা জিন্না সম্পর্কে তিনি বলেন এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জিন্নার অবদান রয়েছে, সে কারণেই ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে জিন্নাকে সম্মান জানানো উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সাবিত্রী বলেন আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে জিন্নার ছবি নিয়ে বিতর্কটি বহুজন সমাজ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে এবং এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেন সাবিত্রী।
আরও পড়ুন, জল নিয়ে বিবাদের জেরে ঔরঙ্গাবাদে সংঘর্ষ, বহু দোকান ও গাড়িতে আগুন!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সাবিত্রী ফুলে বলেন যে, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই মহান ব্যক্তি। ওঁদের সকলকে মানুষের শ্রদ্ধা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিজেপি সাংসদ সাবিত্রী বলেন, "দেশের স্বাধীনতার জন্য জিন্নাও দীর্ঘ লড়াই করেছেন তাই ওঁকে শ্রদ্ধা করা উচিত এবং তাঁর ছবি নিয়ে যা হচ্ছে সেটা অনভিপ্রেত।"
আরও পড়ুন, আবার বেঁফাস মন্তব্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের, এবার আলোচনায় রবি ঠাকুরের নোবেল
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের হলে কেন মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি টাঙানো রয়েছে, সে নিয়ে আপত্তি তোলেন বিজেপির আরেক সাংসদ সতীশ গৌতম। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠিও লেখেন সতীশ। জিন্নার ছবি খুলে ফেলার দাবি জানিয়ে গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জোর করে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। এ ঘটনার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ধরনায় বসেন পড়ুয়ারা। গত সপ্তাহে একটি সংবাদ চ্যানেলে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন যে, এ দেশে জিন্নাকে শ্রদ্ধা করা যায় না। দেশবাসী কখনই যে তাঁর কৃতিত্বকে গ্রহণ করবে না, সেকথাও বলেন যোগী।
সাবিত্রী ফুলে আরও বলেন, "এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিষ্টান সকলেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং এদেশের সংবিধান সমস্ত ধর্মের মানুষদের সুরক্ষিত রাখার কথা বলে। তাহলে এসমস্ত বিষয়ে ধর্মের প্রসঙ্গ আসে কী করে?"