ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ক্রমশ সমৃদ্ধি ঘটছে। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা মুসলমান বিদ্বেষের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে এই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি। বিশ্বে ভারতের সম্মানহানি করতেই এই ধরনের 'মিথ্যা প্রচার' চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।
ভারতে ইসলাম বিদ্বেষ বাড়ছে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য মুসলমানদের দায়ী করা হচ্ছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও অধিকার আন্দোলন কর্মীরা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলে। একই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে নিশাকে করে ৫৭ সদস্যের এক আন্তর্জাতিক মুসলিম সংগঠন, অরগানাইজেশন অফ ইসলামিক কোয়াপোরেশনের (ওআইসি)। ভারতে এইসব অভিযোগের জবাবে এদিন কড়া প্রতিক্রিয়া দেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি। তাঁর কথায়, 'মোদী বিরোধীরা ভারতের সর্বজাতির সার্বিক উন্নতি হজম করতে পারছেন না। তাই সংখ্যালঘুদের উপর অসহিষ্ণু, বিদ্বেষপূর্ণ ও সাম্প্রদায়িক অত্যাচারের মত অসত্য তথ্য দিয়ে অসাধু প্রচার চালানো হচ্ছে।' মোদী বিদ্বেষীরা আসলে মুসলমান বিদ্বেষকে হাতিয়ার করে ভারতের বহুত্ববাদী বুনিয়াদকে নষ্ট করতে মরিয়া। কিন্তু এই উদ্যোগ সফল হবে না বলেই আশাবাদী নাকভি।
আরও পড়ুন- ‘ভারত মুসলমানদের জন্য স্বর্গ’, ওআইসি-কে তোপ নাকভির
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'ভারতে মুসলমানরাদের দেশের আর পাঁচজনের মতই সাম্য, স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। তাঁরা সুরক্ষিত। ক্রমশ মুসলমানদের সমৃদ্ধি ঘটছে। ভারতের মত সহিষ্ণু দেশ ও তার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অসত্য ধারনা যাঁরা ছড়াচ্ছেন তাঁদের মানসিকতা কতটা দেউলিয়া তা সহজেই অনুমেয়। '
গত পাঁচ বছরে মোদী সরকারের সময়কালে ভারতে কোনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি বলে দাবি করেন মুক্তার আব্বাস নাকভি। এই কারণেই একদল মানুষের অপপ্রচারে পরবর্তী সময়ে দিল্লি দাঙ্গা ঘটেছে বলে মনে করেন তিনি। এ ভছরের শুরুতে সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে দেশ। এই আন্দোলনের ভয়কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল দিল্লির শাহিনবাগ। নাকভির মতে, যেসব মহিলারা শাহিনবাগে অবস্থান করে সিএএ বিরোধী আন্দোলন চালিয়েছেন তাঁদের 'দেশ বিরোধী' বলে অখ্যায়িত করা হয়নি। কিন্তু, আন্দোলনকারীরা যে 'অপপ্রচারের' শিকার তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন