আর 'সংস্কৃত' নয়! এবার আয়ুর্বেদ পদের জন্য আবেদন মুসলিম অধ্যাপকের

সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম বিজ্ঞান (এসভিডিভি) বিভাগে যোগ দেওয়ার পর থেকেই পালিয়ে পালিয়ে থেকেছেন এই মুসলিম অধ্যাপক।

সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম বিজ্ঞান (এসভিডিভি) বিভাগে যোগ দেওয়ার পর থেকেই পালিয়ে পালিয়ে থেকেছেন এই মুসলিম অধ্যাপক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফিরোজ খানের সংস্কৃত পড়ানও নিয়ে উত্তাল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু ছাত্ররা

সংস্কৃত অধ্যাপকের পদ ছেড়ে এবার আয়ুর্বেদ বিভাগে অধ্যাপনা করতে চেয়ে আবেদন করলেন ফিরোজ খান। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত অধ্যাপকপদে ফিরোজ খানের নিয়োগের পর থেকে ধর্ম নিয়ে তরজা লেগেই থেকেছে। শিক্ষার্থীদের ধর্না থেকে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে অধ্যাপকদের দেওয়া চিঠি, সংস্কৃতে ডক্টরেট ফিরোজ খানকে ঘিরে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছিল 'ধর্ম সংকটের মেঘদূতম'।

Advertisment

তবে শেষ পর্যন্ত জট কাটালেন ফিরোজ খান নিজেই। সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম বিজ্ঞান (এসভিডিভি) বিভাগে যোগ দেওয়ার পর থেকেই পালিয়ে পালিয়ে থেকেছেন এই অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, "ফিরোজ খান আয়ুর্বেদ বিভাগে যোগদান করতে নিজে তেমন উৎসাহী নন, কারণ এটি তাঁর বিষয় নয়। এমনকী সংস্কৃত সাহিত্যের মতো এত বিপুল নয় আয়ুর্বেদ। যদি এই বিভাগের জন্য উনি নির্বাচিত হন, তাহলে এসভিডিভি থেকে পদত্যাগ করবেন ফিরোজ খান।" যদিও আয়ুর্বেদ বিভাগের অধ্যাপক বলেন, "এই বিষয়টিতেও বেদ, ভারতীয় দর্শন, সংস্কৃত ব্যাকরণ রয়েছে।"

আরও পড়ুন: হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরোজ খানের নিয়োগ বাতিলের দাবি, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি অধ্যাপকদের

এদিকে, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে ফিরোজ বলেন, “সারা জীবন ধরে আমি সংস্কৃত পড়ে এসেছি। কোথাও মনে হয়নি, আমি মুসলিম বলে সংস্কৃত পড়তে পারব না। এবার যখন সংস্কৃত পড়াতে গেলাম তখন তার মধ্যে ধর্ম নিয়ে আসা হল।” নেট এবং জেআরএফ সম্পূর্ণ করা কৃতী ছাত্র ফিরোজ বলেন, “আমি ক্লাস টু থেকে আমার মহল্লাতেই সংস্কৃত পড়া শুরু করি। সেখানে প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলিমের বাস। কোনও দিন আমাদের সমাজ কিংবা মৌলবিরা আমাকে এ ব্যাপারে বাধা দেননি। আমি কোরানের চেয়ে অনেক বেশি সংস্কৃত জানি। আমি মুসলিম জেনেও আমার সংস্কৃত জ্ঞানের প্রশংসা করেছেন হিন্দুরা।” এক নিঃশ্বাসে বললেন ফিরোজ। উল্লেখ্য, তাঁর বাবা রমজান খানও ছিলেন সংস্কৃতের ছাত্র।

Advertisment

যদিও ধর্নায় শামিল ছাত্রদের মধ্যে এবিভিপি, কেন্দ্রীয় ব্রাহ্মণ মহাসভা এবং আরএসএস-এর সদস্য শশীকান্ত মিশ্র, শুভম তিওয়ারী এবং চক্রপানি ওঝাদের বক্তব্য ছিল, “যদি কেউ আমাদের ধর্মের না হয়, তাহলে সে কীভাবে আমাদের সংস্কৃতি বুঝবে? কীভাবে তিনি আমাদের ধর্মকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন?” এই দাবি মানতে নারাজ ফিরোজ। তিনি বলেছেন, “যাঁরা বলছেন আমি মুসলমান হয়ে হিন্দুত্ববাদ পড়াতে পারব না, তাঁদের আমি বলব, আমি সংস্কৃত ভাষা সাহিত্যের খুঁটিনাটি ছাত্রছাত্রীদের কাছে তুলে ধরি। যেমন অভিজ্ঞান শকুন্তলম, উত্তর রামচরিতম্ ইত্যাদি। এর সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্কই নেই।”

Read the full story in English

national news