নাগরোটায় জঙ্গি হামলায় পাক মদত স্পষ্ট হতেই শনিবার পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করল ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ইসলামাবাদকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের মদত দেওয়া বন্ধ করুক পাকিস্তান। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, পাক পাঞ্জাব প্রদেশে ছিল চার নিহত জঙ্গির বাড়ি। সেখানেই তাদের আত্মঘাতী হামলার প্রশিক্ষণ দিয়েছে মৌলানা মাসুদের ভাই মুফতি আসগর ও জইশের অপারেশনাল কমান্ডার জারার। বড় কোনও নাশকতার উদ্দেশ্যেই তাদের ভারতের পাঠানো হয়েছিল। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে যে মোবাইল ফোন ও টিপিআইএস পাওয়া গিয়েছে তার লিঙ্ক রয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। উদ্ধার হওয়া ডিজিটাল রেডিওটিও পাক সংস্থা ‘কিউ’ মোবাইলের বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে যে, স্থানীয় ডিডিসি নির্বাচন বানচাল করতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ-সহ বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। নাশকতার ছক বানচাল হতেই পাক রাষ্ট্রদূতকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত। ভারতীয় সেনা যোগ্য জবাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন নাগরোটায় জইশ জঙ্গিদের হামলায় পাক মদতের প্রমাণ স্পষ্ট
প্রসঙ্গত, জঙ্গি বোঝাই একটি ট্রাককে বৃহস্পতিবার ভোরে নাগরোটায় বান টোল প্লাজার সামনে থামায় নিরাপত্তারক্ষীরা। তখনই ড্রাইভার পালায়, যার এখনও খোঁজ নেই। সিআরপিএফ ও পুলিশ ট্রাকটিকে ঘিরে ফেলে। এরপর সেখানে যান জম্মুর আইজি মুকেশ সিং। সন্ত্রাসবাদীদের আত্মসমর্পণ করতে বলেন তিনি। কিন্তু জইশ জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। গ্রেনেড বর্ষণ করে। প্রায় তিন ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ের পর চার জঙ্গির মৃত্যু হয়। আহত হন দুই পুলিশকর্মী। ট্রাক থেকে বিপুল সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ছিল ১১টি একে ৪৭, ২৯টি গ্রেনেড, তিনটি পিস্তল ইত্যাদি। এছাড়াও ওষুধ, তার, ইলেকট্রিক সার্কিট ইত্যাদি পাওয়া যায়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন