বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। অথচ ভিতরেই সব গোপন কাজ। সীমান্ত পেরোতে কাঁটাতাঁর নয় সুড়ঙ্গের আশ্রয় নিল জঙ্গিরা। নাগরোটা এনকাউন্টারের তদন্তে উঠে এল এমনই খোঁজ। পাকিস্তানের জড়িত থাকার আরও একটি ইঙ্গিত হিসাবে সুরক্ষা বাহিনীর সূত্র রবিবার জানিয়েছে যে সাম্বা জেলায় একটি সুড়ঙ্গ সনাক্ত করা হয়েছে যা সীমান্তের যোগসূত্র।
বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-শ্রীনগর ন্যাশনাল হাইওয়ের নাগরোটার কাছে বান টোল প্লাজায় পুলিশ ও সুরক্ষা বাহিনী কর্তৃক নিহত চার জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরা এই সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করেছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এখনও সব তথ্য পাওয়া না গেলেও এই সুড়ঙ্গটি প্রায় ১৫০মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এমনটাই জানা গিয়েছে। সাম্বা সেক্টরের কোথাও সীমান্ত অতিক্রম করার পরে নিহত জঙ্গিরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রবেশ করেছিল বলে খবর।
আরও পড়ুন, ফের করোনা ঝড়! পাঞ্জাব-হিমাচল-উত্তর প্রদেশে বিশেষ দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র
নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে ১১ টি এ কে অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি পিস্তল, ২৯ টি গ্রেনেড এবং ছয়টি ইউবিজিএল গ্রেনেড-সহ বিশাল অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছিল। পুলিশের অনুমান একটি “বড় পরিকল্পনা” কার্যকর করতে এসেছিল এই জঙ্গিরা।
এদিকে, নাগরোটায় জঙ্গি হামলায় পাক মদত স্পষ্ট হতেই শনিবার পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করল ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ইসলামাবাদকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের মদত দেওয়া বন্ধ করুক পাকিস্তান।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন