নারদকাণ্ডের তদন্তে যে সিবিআই একেবারে কোমর বেঁধে নামতে চাইছে, তা বেশ কয়েক দিন ধরেই অনুমান করা যাচ্ছিল। এবার এই তদন্তে উল্লেখযোগ্য 'অগ্রগতি' হতে চলেছে বলে খবর। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই তদন্তে গতি আনতে জনা কয়েক তৃণমূল সাংসদকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। আর এ জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা হিসাবে লোকসভার অধ্যক্ষের থেকে অনুমতিও চেয়েছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যে লোকসভার অধ্যক্ষকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। জানা যাচ্ছে, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমান মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চায় সিবিআই।
আরও পড়ুন: শোভন-বৈশাখীর আপত্তি নাকচ? দেবশ্রীকে দলে নিয়ে নেব, মন্তব্য দিলীপের
উল্লেখ্য, সারদার পাশাপাশি নারদকাণ্ডেও টানা একের পর অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তলব করা হয়েছে একাধিক অভিযুক্তকে। বুধবারই দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বর্তমানে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়কে। তৃণমূলের তৎকালীন 'সেকেন্ড-ইন-কমান্ড' নারদার পাশাপাশি সারদাতেও অভিযুক্ত। এছাড়া সিবিআি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেডি সিংকেও। অ্যালকেমিস্টকর্তা কেডি তৃণমূলের টিকিটেই রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া, বুধবারই নারদকাণ্ডে তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ অপরূপা পোদ্দার এবং কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও তলব করে নোটিস দিয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে বিজেপি নেতা শোভন ও তৃণমূল সাংসদ অপরূপাকে তলব সিবিআই-এর
লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে সিবিআই-এর এই অনুমতি চাওয়ার খবর নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছে। মেয়ো রেডে তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসেও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। মমতার দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ক্রমাগত সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরকে কাজে লাগাচ্ছে। যদিও বিজেপি নেতারা একাধিকবার দাবি করছেন, তদন্তে কেউ ছাড় পাবেন না, সরকারের এ ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা নেই।
Read the full story in English