শনিবার ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস অর্থাৎ এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের অব্যবহিত পরেই মোদী সরকারকে আক্রমণ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বক্তব্য, মুসলিমদের নিশানা করার বৃহত্তর নীতির অঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এনআরসি।
Advertisment
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ হওয়ার পর থেকেই ভারত সরকারের বিরুদ্ধে নিয়ম করে কড়া ভাষায় সোচ্চার হয়েছেন ইমরান। এনআরসি নিয়ে শনিবার তাঁর টুইটে তিনি লিখেছেন, ভারতে মুসলিমদের জাতিগতভাবে নির্মূল করা হচ্ছে, এই ঘটনাকে সারা দুনিয়ার অশনি সঙ্কেত হিসেবে দেখা উচিত।
"ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া থেকে মোদী সরকার দ্বারা মুসলিমদের জাতিগতভাবে নির্মূল করার খবর সারা দুনিয়ার কাছে অশনি সঙ্কেত হওয়া উচিত, যে কাশ্মীরের অবৈধ অধিগ্রহণ মুসলিমদের নিশানা করার বৃহত্তর নীতির অঙ্গ," লিখেছেন ইমরান, সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
গত সপ্তাহে একের পর এক টুইটে ভারত সরকারকে 'ফ্যাসিবাদী", "বর্ণবিদ্বেষী", "নাৎসি আদর্শের" অনুগামী আখ্যা দিয়ে ইমরান অভিযোগ করেছেন, "জাতিগত নির্মূলীকরণ এবং গণহত্যার আদর্শ" মেনে চলছে সরকার।
শনিবার প্রকাশিত আসাম এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় স্থান হয় নি ১৯ লক্ষের বেশি মানুষের। গতবছর প্রকাশিত খসড়া তালিকায় নাম ছিল না ৪০ লক্ষ মানুষের। শেষ পর্যন্ত যা দাঁড়িয়েছে, তাতে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬১ জন আবেদনকারীর মধ্যে চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা হয়েছে ৩ কোটি, ১১ লক্ষ, ২১ হাজার ৪ জনের।
মূলত আসামে পড়শি রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করার লক্ষ্যেই শুরু হয়েছিল এনআরসি প্রক্রিয়া। যাঁদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় নেই, তাঁরা এর বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারেন ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে, যেখানে শুনানি হবে তাঁদের মামলার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে যে যে কোনও মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ প্রকাশিত হবে নথিপত্র পেশ করার ১২০ দিনের মধ্যে।