ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভের ফলাফলে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গেছে মুম্বই শহর এবং শহরতলীর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পড়াশুনা সহ সামগ্রিক মেধায় রয়েছে বিস্তর ফারাক। সমীক্ষা অনুসারে দেখা গেছে মুম্বইয়ে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের মধ্যে বোঝার ক্ষমতা ৬১.২ শতাংশ। সেখানে শহরতলীতে এই হার ৩৬.৩ শতাংশ। যা শিক্ষার মান কে এক গভীর প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
সমীক্ষা অনুসারে দেখা যায়, উঁচু ক্লাসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পড়ুয়াদের বোঝার মান ক্রমশই কমতে শুরু করছে। মুম্বইয়ে অষ্টম শ্রেণিতে এই হার ৩০.৪ শতাংশ যেখানে শহরতলীতে এই হার ১০.১ শতাংশ। যদিও মহামারী চলাকালীন স্কুল বন্ধ হওয়ার প্রভাব শিক্ষার্থীদের খারাপ পারফরম্যান্সের পিছনে একটি কারণ, মুম্বই শহর এবং শহরতলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য এক প্রশ্নের উত্থাপন করেছে, এই বিবেচনায় যে মুম্বইকে বরং একটি বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত জেলা হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল। যেখানে শহরতলীর পড়ুয়া মুম্বইয়ের তুলনায় শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক পিছিয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: নারী সুরক্ষায় তৎপর উত্তরপ্রদেশ, মহিলাদের নাইট শিফটে কাজ নিয়ে জারি নয়া নির্দেশিকা
প্রবীণ শিক্ষাবিদ বাসন্তী রায় বলেন, একটি পরিষ্কার পার্থক্য চোখে পড়ছে, মুম্বইয়ে একাধিক নামী সরকারি স্কুল রয়েছে সেখানে নিয়মিত পড়াশুনা হয়, পড়ুয়াদের মান যাচাইও করা হয় নিয়মিত। কিন্তু শহরতলীতে সদ্য গজিয়ে ওঠা অনেক বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের পড়াশুনার মান সন্তোষ জনক নয়”। আন্ধেরির একটি স্কুলের একজন সিনিয়র শিক্ষক বলেছেন, প্যানডেমিক কালে NAS সার্ভে অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে অনেক পড়ুয়াই তাতে অংশ নিতে পারেনি। তবে মহামারী যে বাচ্চাদের শিক্ষাকে প্রভাবিত করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
Read in English