গৃহবধূদের চেয়ে কর্মরত মহিলারাই আধুনিক গর্ভনিরোধক বেশি ব্যবহার করেন। জানাল জাতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমীক্ষা। এই সমীক্ষা বলছে যে কর্মরত মহিলাদের মধ্যে ৬৬.৩ শতাংশ আধুনিক গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার করেন। আর, কর্মরত নন অথচ আধুনিক গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেন, এমন মহিলার সংখ্যা ৫৩.৪ শতাংশ।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের থেকে সমাজের এগিয়ে থাকা সম্প্রদায়ের মহিলারাই বেশিসংখ্যায় গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেন। আর, এই ব্যবহার নির্ভর করে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ওপর। সমাজের যে অংশের মানুষের মধ্যে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি বেশি, তাঁদের মধ্যে আধুনিক গর্ভনিরোধক ব্যবহারের প্রবণতাও বেশি। পরিবার পরিকল্পনার জন্য এই সব গর্ভনিরোধকের বিরাট ভূমিকা আছে।
জাতীয় পরিবার মন্ত্রকের এই সমীক্ষা প্রকাশের পর, তা দেখে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পপুলেশন ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার কার্যনির্বাহী কর্ত্রী পুনম মুত্রেজা বলেন, 'এই সমীক্ষা আমাদের এক দিশা দিয়েছে। এর তথ্যই প্রমাণ যে সঠিক পরিবার পরিকল্পনার জন্য উন্নয়নই সর্বাগ্রে দরকার। আমাদের এখন সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। যাঁরা শ্রেণি, পরিচয় এবং ভৌগলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত, সেই সব মানুষের দিকে নজর দেওয়া দরকার। যাতে এই সব মানুষের মধ্যেও গর্ভনিরোধের ভাবনা জেগে ওঠে।'
আরও পড়ুন- LAC-তে আর সমস্যা হয়নি, হটলাইনের মাধ্যমেই সমাধান হচ্ছে, জানালেন সেনার নর্দার্ন কমান্ডার
মুত্রেজার মতে, সমীক্ষার তথ্য থেকেই প্রকাশ পেয়েছে যে ভারতে গর্ভনিরোধক পদ্ধতির জ্ঞান কমবেশি প্রায় সকলেরই আছে। বর্তমানে বিবাহিত মহিলা এবং ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি পুরুষদের ৯৯ শতাংশেরও বেশি গর্ভনিরোধের অন্তত একটি আধুনিক পদ্ধতি জানেন। অথচ, পরিবার পরিকল্পনার জন্য আধুনিক গর্ভনিরোধকের ব্যবহার এখনও ৫৬.৪ শতাংশ রয়ে গিয়েছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই মনে করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। মুত্রেজার মতে, এত সচেতনতা বৃদ্ধির পরও সমাজের বেশ কিছু মানুষের কাছে গর্ভনিরোধকের অর্থ হল নারীর বন্ধ্যাকরণ। যেন যাবতীয় পরিবার পরিকল্পনার দায় স্রেফ নারীর ওপরই বর্তায়। এই ভাবনার বদল দরকার বলেই মনে করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।
Read story in English