Advertisment

রুশদির বই নিষিদ্ধ করেছিলেন রাজীব গান্ধী, ঠিকই করেছিলেন বলে দাবি নটবরের

এই হামলার অভিযোগে ২৪ বছর বয়সি হাদি মাতার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
salman_rushdie

ছুরিকাহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সলমন রুশদি।

'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস' নিষিদ্ধ করা নিয়ে রাজীব গান্ধীর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। এমনটাই দাবি করলেন নটবর সিং। 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস' লিখেছেন সলমন রুশদি। বম্বেতে জন্মেছিলেন এই ঔপন্যাসিক। আদতে কাশ্মীরি মুসলিম পরিবারের সন্তান সলমন রুশদির জন্ম বম্বেতে হলেও তিনি ইংল্যান্ডে থাকেন। তিনি ওই বিতর্কিত উপন্যাস লেখার কারণেই ছুরিকাহত হয়েছেন।

Advertisment

তাঁর ওপর হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এবার মুখ খুললেন কে নটবর সিং। প্রবীণ নেতা নটবর সিং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। তিনি রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। নটবর জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কারণেই 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস' উপন্যাসকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

এই পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্ব সলমন রুশদির শারীরিক পরিস্থিতির কথা ভেবে চিন্তিত। নিউইয়র্ক স্টেট বুক ইভেন্টে রুশদিকে ছুরিকাঘাতের পর তাঁকে সাহায্য করার জন্য ছুটে আসা একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, লেখকের ক্ষত 'গুরুতর তবে তা সারানো সম্ভব'। রুশদি, তাঁর ওই উপন্যাস লেখার কারণে হত্যার হুমকি পেয়েছেন। ইরান তো খোলাখুলি মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে রুশদিকে হত্যার অনুরোধ করেছিল। ইরানের হয়ে রুশদিকে হত্যার ফতোয়া জারি করেছিলেন ইরানের প্রাক্তন প্রধান ধর্মগুরু আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেইনি।

এই ফতোয়ার জেরে পরবর্তী কয়েক বছর আত্মগোপনে কাটিয়েছিলেন রুশদি। কিন্তু, এবার একটি বক্তৃতায় মঞ্চে তাঁর ঘাড়ে এবং শরীরে ছুরি মেরে আঘাত করা হল। হামলায় তাঁর একটি চোখ হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। রুশদির সহায়ক জানিয়েছেন যে ৭৫ বছর বয়সি ঔপন্যাসিকের হাতের স্নায়ু বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁর লিভারে ছুরির আঘাত লেগেছে। লিভার ছুরির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই হামলার অভিযোগে ২৪ বছর বয়সি হাদি মাতার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন- জুনের পর আবার করোনায় আক্রান্ত সনিয়া, টুইট জয়রাম রমেশের!

বর্তমানে রুশদি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রয়েছে। তিনি কথা বলতে পারছেন না। অভিযুক্ত হাদি মাতার ইরানের সমর্থক বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। রুশদির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারির পর জাপানি ভাষায় তাঁর উপন্যাসের অনুবাদক হিতোশি ইগারাশিকে জাপানে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এর ইতালীয় অনুবাদক ইতোরে ক্যাপ্রিওলো, মিলানে ছুরির আঘাতে আহত হন। ১৯৯৩ সালের অক্টোবরে, 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'-এর নরওয়েজিয়ান প্রকাশক উইলিয়াম নাইগার্ডও অসলোতে গুলিবিদ্ধ এবং আহত হন।

Read full story in English

Iran Britain Author Salman Rushdie
Advertisment