মাস দেড়েক আগে মেঘালয়ের অবৈধ খনিতে আটকে পড়া ১৫ জন শ্রমিকের খোঁজে তল্লাশি অভিযানের মাঝে ছিন্ন ভিন্ন একটি দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে তলিয়ে গেল খনি গর্ভে।
দিন সাতেক আগেই এক শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করল ভারতীয় নৌবাহিনী। খনিগর্ভের ২০০ ফুট নীচ থেকে ওই দেহ উদ্ধার করা হয়। আন্ডারওয়াটার রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকলের (ইউআরওভি) সাহায্যে চিহ্নিত করা গিয়েছিল আরও একটি দেহ। উদ্ধারের সময় খনিতেই তলিয়ে যায় এক শ্রমিকের দেহ। মঙ্গলবার থেকে দেহটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার সারাদিন চেষ্টা করেও খোঁজ মেলেনি।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাজ্য সরকারের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, প্রাথমিক উদ্ধারকাজ চালানোর সময় দেহটি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। মাথার খুলি, হাতের কবজি এবং একটি পা আলাদা হয়ে গিয়েছিল দেহ থেকে।
আরও পড়ুন, দুর্ঘটনার একমাস পর মেঘালয়ের খনি থেকে উদ্ধার এক শ্রমিকের দেহ
উদ্ধারকারী দলের মুখপাত্র আর সাঙ্গি জানিয়েছেন, "আরওভি-র সাহায্যে দেহ ওপরে নিয়ে আসার সময়েই দেহাবশেষ খনি গর্ভে তলিয়ে যায়। পাইপ, কেবলের তার ইত্যাদির উপস্থিতির জন্য দেহটিকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হচ্ছেন না উদ্ধারকারীরা।
১২ ডিসেম্বর মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ের ওই বেআইনি খনিতে জল ঢুকে পড়ায় আটকে পড়েন ১৫ জন শ্রমিক৷ দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের কোনও হদিশ না মেলায় প্রশাসনের উপর বাড়তে থাকে ক্ষোভ৷ উদ্ধারকার্যের গতি নিয়ে মেঘালয় সরকারকে ভর্ৎসনা করে দেশের শীর্ষ আদালত। অবৈধ 'র্যাট হোল' খনি ২০১৪ সালেই নিষিদ্ধ করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
মেঘালয় সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টকে জমা দেওয়া সোমবারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, "১৬ জানুয়ারি উদ্ধার হওয়া দেহটির পেছনে অন্তত আরও ১৪টি দেহ থাকার সম্ভাবনা প্রবল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য একাধিকবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ওই খনি গর্ভ থেকে দেহ উদ্ধারের কাজ প্রায় অসম্ভব।
Read the full story in English