সাম্প্রতিক সময়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারে বড় সাফল্য পেল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। ভারতীয় নৌবাহিনীর সহায়তায় উদ্ধার করল ২,৫০০ কেজি 'আন্তর্জাতিক মানের মেথামফেটামিন'। যার মূল্য আনুমানিক ১২,০০০ কোটি টাকা। ভারতীয় জলসীমা থেকে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে। শনিবার এক প্রেস বিবৃতিতে একথা জানিয়ে এনসিবি বলেছে যে ঘটনায় সন্দেহভাজন একজন পাকিস্তানি নাগরিককেও আটক করা হয়েছে। এনসিবির মতে, বাজেয়াপ্ত করা মেথামফেটামাইন আফগানিস্তান, ইরান এবং পাকিস্তানকে নিয়ে গঠিত 'ডেথ ক্রিসেন্ট' থেকে আসছিল। এই প্রথম কোনও ভারতীয় সংস্থা মাদক বহনকারী একটি 'মাদার শিপ' আটকালো।
এই জাহাজ আটকের ব্যাপারে এনসিবি জানিয়েছে, নৌবাহিনীর গোয়েন্দা শাখা পাকিস্তানে বেলুচিস্তানের মাক্রান উপকূল থেকে প্রচুর পরিমাণে মেথামফেটামাইন বহনকারী একটি 'মাদার জাহাজ' ভারতে আসার ব্যাপারে তথ্য পেয়েছিল। এই মাদার জাহাজগুলো সাধারণত প্রচুর পরিমাণে মাদকদ্রব্য বহন করে। আর, পথে অন্য জাহাজে এই সব মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে থাকে। এনসিবি জানিয়েছে, প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের বিচার-বিশ্লেষণ করে জাহাজটির সম্ভাব্য রুট চিহ্নিত করা হয়। কোন জায়গায় মাদার শিপ থেকে অন্য জলযানে মাদক পাচার হবে, সেই জায়গাও চিহ্নিত করেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন- রাহুলকে সাজা দিয়েছিলেন, সেই বিচারক-সহ ৬৮ জনের পদোন্নতি আটকে দিল সুপ্রিম কোর্ট
এরপর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য পাচারের জায়গার আশপাশে নৌবাহিনীর জাহাজ মোতায়েন করা হয়। সেই নৌবাহিনীর জাহাজ একটি বড় জাহাজকে আটক করে। সেই জাহাজে তল্লাশি চালিয়ে ১৩৪ বস্তায় লুকিয়ে রাখা মেথামফেটামিন উদ্ধার হয়। জাহাজ থেকে একটি স্পিডবোটও উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এক পাকিস্তানি নাগরিককে। ধৃতকে এনসিবির হাতে তুলে দিয়েছে নৌবাহিনী। এনসিবি জানিয়েছে, এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে 'অপারেশন সমুদ্রগুপ্ত'। আফগানিস্তান থেকে আসা মাদকের পাচার রোখা এই অভিযানের লক্ষ্য। আর, এই অভিযানের অংশ হিসেবে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩,২০০ কেজি মেথামফেটামিন, ৫০০ কেজি হেরোইন এবং ৫২৯ কেজি হাসিস উদ্ধার হয়েছে।