কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আগেই বিক্ষোভকারী কৃষকদের সমর্থন জানিয়েছিল এনডিএ-র শরিক রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক দল। এবার সেই সুর আরও চড়ালেন রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক দলের প্রধান হনুমান বেনিওয়াল। রাজস্থানের নাগুয়ার সাংসদ ইস্তফা দিলেন লোকসভার তিনটি কমিটি থেকে। একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, আগামী ২৬ ডিসেম্বর ২ লক্ষ সমর্থক নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে মিছিল করবেন তিনি।
জয়পুরে হনুমান বেনিওয়াল বলেছেন, 'দিল্লির সরকার কৃষকদের বিক্ষোভ দমন করার মুডে রয়েছে। ঠিক করেছি আগামী ২৬ মার্চ ২ লক্ষ দলীয় সমর্থক ও কৃষকদের নিয়ে হেঁটে শাহজাহানপুর সীমানা দিয়ে দিল্লিতে যাব। এটা রাজস্থানের সম্মানের বিষয়। কৃষখদের স্বার্থহানিকর যে আইন কেন্দ্র করেছে তা কোনও মতেই আমরা মানব না। '
এনডিএ-তে থেকে এই প্রতিবাদের কোনও অর্থ রয়েছে কী? জবাবে তাট নেতা বেনিওয়াল জানিয়েছেন, দিল্লির উদ্দেশে মিছিল থেকেই স্থির হবে যে আদৌ রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক দল আর এনডিএ-র শরির থাকবে কিনা। তাঁর মতে, 'কৃষক বিদ্রোহকে হাল্কাভাবে নেওয়া উচিত নয়। এই আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র বিপাকে পড়বে।'
কেন্দ্রীয় তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার ও স্বামীনাথণ কমিশন রিপোর্ট লাগুর দাবি জানিয়েছে হনুমান বেনিওয়ালের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক দল। বেনিওয়ালের কথায়, 'কৃষক প্রতিবাদকে সমর্থন করে আমি লোকসভার শিল্প, পেট্রোলিয়াম -প্রকৃতিক গ্যাস ও পিটিশন সংক্রান্ত কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছি। স্পিকারকে ই-মেইলে পদত্যাগের কথা জানিয়েছি।'
নয়া কৃষি আইন নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে কেন্দ্রীয় সরকার। একদিকে, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা। আইন বাতিল না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি কৃষক সংগঠনের। অন্যদিকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কৃষকরাও রয়েছেন, যারা এই বিক্ষোভে যোগ দেননি। তাঁরা এই বিলকে সমর্থন করেছেন। আন্তর্জাতিক ভাবেও দেশের কৃষকদের এই আন্দোলন সমর্থন পেয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন