জম্মু কাশ্মীরের সাম্বা জেলায় সীমান্ত বেড়া এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের মধ্যে প্রায় ৫০০ হেক্টর চাষযোগ্য জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এবার সেই জমিতে কৃষিকাজ শুরুর ব্যাপারে স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছে প্রশাসন। সাম্বার ডেপুটি কমিশনার অনুরাধা গুপ্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের দিক থেকে গোলাগুলি ধেয়ে আসার আতঙ্কে ওই এলাকায় চাষের কাজ বন্ধ করে দেন কৃষকরা।
তবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাসে নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর একটি পুনর্নবীকরণ যুদ্ধবিরতি হয়েছে। পড়শি দেশের সেই সম্মতির বলেই এবার সাম্বার অব্যবহৃত জমিতে কৃষিকাজ শুরুর ব্যাপারে কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছে প্রশাসন।
কাশ্মীরের সাম্বা জেলায় পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে। আন্তর্জাতিক এই সীমান্ত বরাবর প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষবাসের কাজ শুরু নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে এব্যাপারে এলাকার কৃষকদের সব রকমের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কর্তা-কর্মীরা তো বটেই বিএসএফ-এর তরফেও সীমান্ত এলাকায় চাষবাসের কাজে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এলাকাবাসীকে।
ইতিমধ্যেই এই একই ধরনের তৎপরতা নেওয়া হয়েছে জম্মুর সুচেতগড় সীমান্তেও। শনিবার ওই এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সাম্বার চাষিদের। সুচেতগড়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় চাষের কাজ দেখে যথেষ্ট উৎসাহিত হয়েছেন সাম্বার কৃষকরা। এবার তাঁরাও সাম্বায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে ওই এলাকায় চাষবাস শুরু করতে চান বলে স্থানীয় প্রসাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন। শনিবার সাম্বার কৃষকদের জম্মুর সুচেতগড় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন প্রশাসন ও বিএসএফ-এর আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- করোনার বুস্টার ডোজ প্রয়োগ নিয়ে আমার পরামর্শ মানল কেন্দ্র: রাহুল গান্ধী
প্রসাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজপুরা, সাম্বা এবং রামগড়ের পঞ্চায়েত সদস্য ও ৭৩ জন কৃষক সুচেতগড়ে গিয়েছিলেন। সেখানকার কৃষকদের সঙ্গে চাষযোগ্য শস্য এবং অন্যান্য একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। এবার সাম্বার অব্যবহৃত ওই জমিতেও চাষের কাজ শুরু করতে চান কৃষকরা। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত জুড়ে অনাবাদি জমিতে বিএসএফের সহায়তা নিয়ে এবার ফের কৃষিকাজ শুরু করতে পারবেন এলাকার কৃষকরা।
শনিবার সাম্বা থেকে জম্মুর সুচেতগড়ে গিযছিলেন এক কৃষক। তিনি বলেন, ''পাকিস্তানের গুলির ভয়ে আমরা চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এখন সরকারের সহযোগিতায় এখানকার (সুচেতগড়) কৃষকরা বেড়ার ওপারে তাঁদের জমিতে চাষ করছেন। আমরাও বিএসএফের নিরাপত্তা বেস্টনীর মধ্যে আবার চাষ শুরু করতে পারি।''