Advertisment

'জওহরলাল শুয়োর, গরু খেতেন। উনি পণ্ডিত হলেন কিসে?'

দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করা এই বিধায়ক নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন এই সুবাদে, যে তিনি বর্তমানে বিলুপ্ত সাপ্তাহিক 'মত সম্মতের' কার্যনির্বাহী সম্পাদক ছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়ক জ্ঞান দেব আহুজা আজ বলেছেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু কখনোই পণ্ডিত ছিলেন না, কারণ তিনি শুয়োর এবং গরুর মাংস খেতেন। সংবাদ সংস্থা ANI-এর দ্বারা প্রকাশিত একটি ভিডিওতে আহুজাকে একথা বলতে শোনা গেছে। তাঁর মতে, "নেহরু পণ্ডিত ছিলেন না। একজন পণ্ডিত কখনো শুয়োর বা গরু খাবেন না। আমরা জানি শুয়োর মুসলমানদের কাছে অপবিত্র, এবং গরু আমাদের কাছে পবিত্র।"

Advertisment



এর আগে বহু বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন আহুজা। যেমন আলওয়ারের গোরক্ষা কর্মীদের সপক্ষে বলা, বা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে তথাকথিত রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান কাণ্ডের সময় দাবি করা যে ক্যাম্পাসে প্রতিদিন হাজার হাজার কনডম পাওয়া যায়।

রাজস্থানের আলওয়ারে গতমাসে রকবর খান ওরফে আকবরের গণপ্রহারে মৃত্যুর পর ৩০ জুলাই আহুজা বলেছিলেন, কোনো গরুচোর বা পাচারকারী যদি ধরাও পড়ে, দু একটা চড় থাপ্পড় বসিয়ে দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া উচিৎ।

আরও পড়ুন: গো রক্ষা হচ্ছে কিন্তু রক্ষা পাচ্ছে না মেয়েরা, অভিযোগ শিবসেনার

বিজেপির এই বিধায়ক তারও আগে আলওয়ারেই এপ্রিল ২০১৭ সালে গোরক্ষা কর্মীদের মারে নিহত পেহলু খানের মৃত্যু সম্পর্কে বলেছিলেন, "আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া উচিৎ নয়, কিন্তু আমরা এই মৃত্যুতে দুঃখিত নই, কারণ গরু পাচারকারীরা গরুর হত্যাকারী, এদের মত পাপীরা এর আগেও পাপের শাস্তি পেয়েছে, ভবিষ্যতেও পাবে।"

আহুজা প্রথম বিজেপি প্রার্থী হিসেবে রাজস্থান বিধানসভা আসন জেতেন ১৯৯৮ সালে, ২০০৩ সালে হেরে যান, কিন্তু ২০০৮ এবং ২০১৩ সালে পুনঃনির্বাচিত হন। অতীতে তিনি তাঁর এলাকায় গোরক্ষা বাহিনীকে অর্থসাহায্য প্রদান করেছেন বলে দাবি করেন। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করা এই বিধায়ক নিজের অফিসিয়াল প্রোফাইলে নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন এই সুবাদে, যে তিনি বর্তমানে বিলুপ্ত সাপ্তাহিক 'মত সম্মতের' কার্যনির্বাহী সম্পাদক ছিলেন।

rajasthan bjp
Advertisment