বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। মাঝ আকাশে নেপাল এয়ারলাইন্সের বিমানের সঙ্গে প্রায় সংঘর্ষ ঘটেই গিয়েছিল। এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেয়েছে দুটি বিমানই। ঘটনায় তিন জন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে, ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাই গোটা ঘটনার তদন্ত করবে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, যান্ত্রিক সতর্কীকরণ ব্যবস্থাগুলো পাইলটদের সতর্ক করে দিয়েছিল। তার ফলে তাঁরা সময়মতো ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। নেপাল অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের মুখপাত্র জগন্নাথ নিরুলা জানিয়েছেন, নেপালের অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে তিন জন এটিসির কাজে খুঁত খুঁজে পেয়েছেন। ওই তিন কর্মচারীকে কাজে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ঘটনার সময় নেপাল এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ-৩২০ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে কাঠমান্ডুতে ফিরছিল। সেই সময় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ১৯ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে নামছিল। আর নেপাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি একই জায়গায় ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল। এমনটাই জানিয়েছেন নেপালের অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের মুখপাত্র জগন্নাথ নিরুলা। রাডারে দেখা গিয়েছে যে দুটি বিমান কাছাকাছি ছিল।
আরও পড়ুন- মুসলিম তোষণ নিয়ে ভোটমুখী কর্ণাটকে কংগ্রেসকে তোপ শাহর, প্রার্থীতালিকা ভোট ঘোষণার পর
নেপাল অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের যে তিন আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা ঘটনার সময় কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে ছিলেন। পাইলটদের সতর্ক করা বা গতিপথ নিয়ে যাবতীয় খবর দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের ওপরই ছিল। কিন্তু, তাঁরা সেই দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেননি। সেটা প্রমাণিত হয়েছে বলেই জগন্নাথ নিরুলা জানিয়েছেন। এয়ার ইন্ডিয়া অবশ্য গোটা ঘটনায় কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
মাত্র কয়েক মাস আগেই এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব নিয়েছে টাটা গোষ্ঠী। আর, তারপরই এয়ার ইন্ডিয়াকে ঢেলে সাজানোর একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থাটি। বিদেশের বিভিন্ন নামী সংস্থা থেকে নতুন বড় থেকে মাঝারি বিমান কেনা-সহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছেন টাটা গোষ্ঠীর কর্তারা।