Advertisment

ফেসবুকে ব্যাপক দুর্নীতি, অবাধে চলছে ফেক অ্যাকাউন্ট, অভিযোগ পেয়েও হাত গুটিয়ে কর্মীরা

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে সোফি ঝাঙ ফেসবুকের যে অভ্যন্তরীণ নথি প্রকাশ করেছেন, তা থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
facebook

ফেসবুকে দিনের পর দিন ধরে চলছে ফেক অ্যাকাউন্ট। বহু সাধারণ মানুষ এনিয়ে ভুক্তভোগী। ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে তাঁরা এনিয়ে অভিযোগও জানিয়েছেন। কিন্তু, লাভের লাভ কিছুই হয়নি। বারবার এমন অভিযোগ উঠছে। শুধু সাধারণ মানুষই না। মন্ত্রী, সাংসদ, আমলাদের নামেও ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট চলছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েছেন বিহারের কৌশাম্বির বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকার।

Advertisment

বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, ফেসবুকে তাঁর ফেক অ্যাকাউন্ট চলছে। সেখান থেকে একের পর এক বার্তাও পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু, ওই অ্যাকাউন্ট তাঁর না। বিনোদ সোনকারের অভিযোগ পেয়ে ফেসবুকের নিজস্ব দল তদন্ত চালিয়েছে। কিন্তু, সেই তদন্তের পর তদন্তকারীদের ধারণা হয়েছে, ওটা আসলে সোনকারেরই অ্যাকাউন্ট। ব্যবস্থা নিতে গেলে সাংসদের অ্যাকাউন্টই বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

ফেসবুক একথা বললেও, সংস্থার কর্মীদের একাংশের দাবি, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থাটি আসলে নীতিহীন কাজ করছে। ফেসবুক ইন্ডিয়া পলিসি টিমের কাছে বারবার অভিযোগ জমা পড়ছে ফেক অ্যাকাউন্ট নিয়ে। কিন্তু, মাসের পর পর ফেসবুক ইন্ডিয়ার টিম কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে সোফি ঝাঙ ফেসবুকের যে অভ্যন্তরীণ নথি প্রকাশ করেছেন, তা থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

আরও পড়ুন- করোনা-কর্মহীনতা-বেসরকারি ব্যাঙ্কের চাপ! প্রবল অনটনেই কী ঘটল চরম পরিণতি?

সোফি ঝাঙ ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফেসবুকে ডাটা সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। ওই সময়ে তাঁর সঙ্গে ফেসবুকের কর্মীদের বেশ কিছু কথাবার্তা হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর যে কথাবার্তা হয়েছে, সেটাই প্রকাশ করেছেন ঝাঙ। যাকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থাটির বিরুদ্ধে নথি হিসেবে ব্যবহার করাই যায়।

ঝাঙ জানিয়েছেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক দলগুলোর হয়ে প্রচারের জন্য ফেক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এই সব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এই জন্য রাজনৈতিক দলগুলো ওই সব সোশ্যাল অ্যাকাউন্টের মালিকদের অর্থও দেয়। ভারতেও বিজেপি, কংগ্রেস থেকে বিভিন্ন দলের এমন ফেক অ্যাকাউন্ট আছে। সেসবের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগও জমা পড়েছে। কিন্তু, হাজারো অভিযোগ পাওয়ার পরও কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ফেসবুক।

Read full story in English

Facebook Indian Express BJP MP
Advertisment