ভারত কোনওদিনই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা LAC-কে স্বীকৃতি দেয়নি। বরং লাদাখ ইস্যুতে বরাবর কথার খেলাপ করেছে ড্রাগনের দেশ। দ্বিপাক্ষিক শর্তও মানেনি তারা। মঙ্গলবার এমনই ভাষায় চিনের দ্বিচারিতা নিয়ে সরব হল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস-এ প্রকাশিত চিনের বিদেশমন্ত্রকের লাদাখ নিয়ে দাবির জেরে এমনই মন্তব্য করেছেন। ১৯৫৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু এবং চিনা রাষ্ট্রনায়ক ঝৌ এনলাইয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার চুক্তি ভারত কোনওদিন মানেনি এবং মানবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে চিনের বিদেশ মন্ত্রী দাবি করেছেন, লাদাখ কোনওদিনই ভারতের অংশ ছিল না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির শর্তও ভেঙেছে ভারত। লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করে চুক্তির শর্ত ভেঙেছে বলে দাবি চিনের। উল্লেখ্য, গত পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারত ও চিনা সেনার বিবাদের জেরে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই চিনের বিদেশমন্ত্রীর দাবি ঘিরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যার জবাব দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক।
আরও পড়ুন পূর্ব লাদাখে যে কোনও উত্তেজনার জন্য তৈরি বায়ুসেনা, হুঙ্কার এয়ার চিফ মার্শালের
মন্ত্রকের মুখপাত্র ১৯৯৩ সালের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা), ১৯৯৬ সালের সেনাবাহিনীর মধ্যে আস্থাবৃদ্ধির পদক্ষেপ, ২০০৫ সালের সেই সংক্রান্ত প্রোটোকল মানা এবং ওই বছরই দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে সীমান্ত সংক্রান্ত কূটনৈতিক চুক্তির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি সংসদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে শ্রীবাস্তব বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় আগ্রাসন দেখিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ড জবরদখল করেছে চিন। লাদাখের পশ্চিম ভাগে নিজের অবস্থান নিয়ে দ্বিচারিতা করেছে চিন।
এদিন শ্রীবাস্তব আরও বলেছেন, "১০ সেপ্টেম্বর মস্কোর বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল তা থেকে সরে এসে দ্বিচারিতা করেছে চিন। তাই আমাদের প্রত্যাশা, যে চিন আন্তরিকতা ও বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সমস্ত চুক্তি এবং বোঝাপড়া মেনে চলবে এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার একতরফা ব্যাখ্যা করা থেকে বিরত থাকবে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন