New Chief Election Commissioner : দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হলেন জ্ঞানেশ কুমার। ২৬ জানুয়ারি ২০২৯ পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।
২৬তম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সিনিয়ার আইএএস জ্ঞানেশ কুমার। চলতি বছরের শেষের দিকে বিহার বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৬ সালে কেরল, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব থাকবে তাঁর কাধেই।
বুধবার দেশের ২৬তম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জ্ঞানেশ কুমার । তিনি ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং সোমবার তাঁকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারই দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে রাজীব কুমার অবসর নেন। ঠিক তার একদিন পর মুখ্য নির্বাচন কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জ্ঞানেশ কুমারকে। সুখবীর সিং সান্ধু নির্বাচন কমিশনার, আর বিবেক জোশীকে সোমবার নির্বাচন কমিশনার পদে নিযুক্ত করা হয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর নবনিযুক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, 'ভোটদান হলো দেশ গঠনের প্রথম পদক্ষেপ। তাই ভারতের প্রতিটি নাগরিক যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে, তাদের অবশ্যই ভোটার তালিকায় এবং ভোত দান বাধ্যতামূলক। ভারতের নির্বাচন কমিশন সর্বদা ভোটারদের সাথে ছিল, আছে এবং থাকবে।
২৬তম মুখ্য কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে, জ্ঞানেশ কুমার চলতি বছরের শেষের দিকে বিহার বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৬ সালে কেরল, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থাকাকালীন জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারার কিছু বিধান বাতিলের পর তিনি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং ১৫ মার্চ, ২০২৪ তারিখে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৮ ব্যাচের কেরল ক্যাডারের আইএএস অফিসার। জ্ঞানেশ কুমার গুপ্ত মূলত উত্তর প্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা। তাঁর বাবা সুবোধ কুমার গুপ্ত পেশায় একজন চিকিৎসক।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিটি দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে জ্ঞানেশ কুমারের নাম সুপারিশ করেন। ১৯৮৮ ব্যাচের কেরল ক্যাডারের এই আইএএস অফিসার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে দীর্ঘদিন তাঁর দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিলটি তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিটি জ্ঞানেশ কুমারের নাম সুপারিশ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অনুমোদন করেন। রাজীব কুমার ১৮ই ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার অবসর নেন। রাজীব কুমারের পর জ্ঞানেশ কুমার হলেন সবচেয়ে সিনিয়র নির্বাচন কমিশনার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তার মেয়াদ ২৬ জানুয়ারি, ২০২৯ পর্যন্ত।
তিনি ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিলটি তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন। এছাড়াও তিন তালাক বিলুপ্তি সম্পর্কিত খসড়া কমিটিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিবের পদে থাকাকালীন, তিনি অযোধ্যার রাম মন্দির সম্পর্কিত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় সম্পর্কিত নথিগুলি পরিচালনা করার দায়িত্বও পালন করেছেন।