কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ ৪৫ ঊর্ধ্বদের করোনা রুখতে দারুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। রক্ষা করছে ডেল্টা ভাইরাস থেকে। এমনটাই জানা গিয়েছে বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণায়। গবেষকরা কোভিশিল্ডের কার্যকারিতা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তা বিশ্লেষণ করেছেন। করোনার বদলে যাওয়া রূপের ওপর নজরদারি চালিয়েছেন। এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিচার-বিশ্লেষণের পর তাঁরা এমন সিদ্ধান্তে এসেছেন।
চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি এবং পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। তাতেই প্রমাণিত হয়েছে যে সাধারণ জনগণের মধ্যে ডেল্টা সংক্রমণ রুখতে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ দারুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। এই ব্যাপারে গবেষকরা বলেন, 'আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ জনগণের মধ্যে করোনার তীব্রতা এবং ভ্যাকসিনের প্রভাব বোঝা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ ৪৫ ঊর্ধ্বদের করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করছে।'
এই ব্যাপারে প্রবীণ বিজ্ঞানী ড. প্রভদীপ কৌর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'SARS-CoV2 ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কোভিশিল্ডের দুটি ভাইরাসের কার্যকারিতা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে এনিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। যাঁরা কোভিশিল্ড নিয়েছেন তাঁদের টিকা নেওয়ার অন্তত দুই সপ্তাহ পরে চালানো হয় সমীক্ষা। তাতেই নতুন তথ্য উঠে এসেছে। এই সমীক্ষা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে চালানো হয়েছে। তার ফলে এর কার্যকারিতা যে সামগ্রিক, তা স্পষ্ট।'
আরও পড়ুন- ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ আফগানিস্তান, সর্বত্র হাহাকার-বেড়েই চলেছে মৃত্যু
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সমসমতো টিকা না-দেওয়ায় করোনা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছিল। আর, এই সময়মতো টিকা না-দেওয়ার জন্য তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাবকে দায়ী করছেন। গবেষকদের সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা ছিল বেশি বয়সি বা ৪৫ ঊর্ধ্বদের নিয়ে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ ৪৫ ঊর্ধ্বদের করোনার টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আর, গবেষণায় ৪৫ ঊর্ধ্বদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় তাঁরা এখন চাপমুক্ত বলেই ড. প্রভদীপ কৌর জানিয়েছেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ঠিক কবে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাদান কেন্দ্রে নথিবদ্ধ সময় আর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সময়, দুটোই এক কি না, এই সব যাবতীয় বিষয় তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন। এর ফলে গবেষণায় সঠিক ফল উঠে এসেছে বলেই গবেষকদের দাবি।
Read full story in English