New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/07/corona-1.jpg)
গতকালের চেয়ে এদিন করোনার দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৪ হাজার।
ভারত এখনও সামগ্রিক অর্জিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় পৌঁছয়নি। ফলে এ দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকালের চেয়ে এদিন করোনার দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৪ হাজার।
প্রকোপ কমলেও সম্পূর্ণ কাটেনি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব। এর মধ্যেই প্রমাদ গুনছে দেশ। যেকোনও সময় আছড়ে পড়তে পারে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। আশঙ্কা আরও বেড়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি আয়োগ সদস্যের সতর্কবাণীতে। ডাঃ ভি কে পাল সাফ জানিয়েছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আগামী ১০০-১২৫ দিন অত্যন্ত সাবধানে থাকতে হবে। কোভিডের প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডাঃ পালের কথায়, 'সংক্রমণের মাত্রা কমেছে। কিন্তু এটাই সতর্ক হওয়ার সময়। আগামী ১০০-১২৫ দিন খুবই সঙ্কটের হতে পারে। তাই এই সময়কালে খুব সাবধানে জীবনযাপন করতে হবে।'
স্বাস্থ্য কর্তাদের মতে, ভারত এখনও সামগ্রিক অর্জিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় (হার্ড ইমিউনিটি) পৌঁছয়নি। ফলে এ দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। না হলেই চরম বিপদ ঘটে যেতে পারে। উল্লেখ্য, করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সতর্ক করেছেন।
মারণ ভাইরাসেপ প্রকোপ রুখতে টিকাকরণ ও সতর্কতাই একমাত্র পথ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রের তরফে দেশবাসীকে বিনামূল্যে টিকাদানের কাজ চলছে। এই অবস্থায় আইসিএমআর রিপোর্টে প্রকাশ, ডেল্টা ভেরিয়েন্ট-চালিত কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ পুলিশকর্মীদের ৯৫ শতাংশকেই মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ। সোমবার নীতি আয়োগের সদস্য ডাঃ ভি কে পাল আইসিএআর-এর এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনেন।
আরও পড়ুন- দু’টি ডোজেই একমাত্র মৃত্যু প্রতিরোধে সম্ভব, দাবি ICMR-র
ওই রিপোর্ট অনুসারে, তামিলনাড়ুতে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৪৪ জন পুলিশ কর্মীর মধ্যে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হয়েছে। নীতি আয়োগের সদস্য ডাঃ ভি কে পাল জানিয়েছেন, যে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৪৪ জন পুলিশ কর্মীর উপর এই সমীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে ৬৭ হাজার ৬৭৩ জন টিকার দু’টি ডোজই নিয়েছিলেন। ৩২ হাজার ৭৯২ জন একটি ডোজ নিয়েছেন। সমীক্ষা পর্যন্ত টিকা নেননি ১৭ হাজার ০৫৯ জন পুলিশকর্মী। সমীক্ষায় প্রকাশ, দ্বিতীয় ঢেউ-য়ের সময় টিকা না নেওয়া ১৭ হাজার ০৫৯ পুলিশকর্মীর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। এছাড়া যাঁরা টিকার একটি ডোজ নিয়েছিলেন (৩২ হাজার ৭৯২ জন) তাঁদের মধ্যে মারণ ভাইরাসে প্রাণ গিয়েছে ৭ জনের। কিন্তু যেসব পুলিশ কর্মীর টিকার দু’টি ডোজই নেওয়া ছিল (৬৭ হাজার ৬৭৩ জন) তাঁদের মধ্যে মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। এক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। শতাংশের বিচারে এই হার প্রতি হাজারে মাত্রা ০.০৬ শতাংশ। টিকা না নেওয়া পুলিশ কর্মীদের মৃত্যুর হার প্রতিহাজারে ১.১৭ শতাংশ। একটি টিকা নেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্ষেত্রে মৃত্যু হার ০.২১ শতাংশ।
ডাঃ ভি কে পাল বলেছেন, 'জুলাইয়ের মধ্যে ৫০ কোটি দেশবাসীকে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। আশা করা যায় সেই লক্ষ্যপূরণে আমরা সফল হব। সরকার ৬৬ কোটি ডোজ কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে। এছাড়া বাড়তি ২২ কোটি ডোজ যাবে বেসরকারি ক্ষেত্রে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে যা যা করণীয় তা করতে হবে। আমরা সবটাই নজরে রেখেছিষ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন