নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-র শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করল এনআইএ। শুক্রবার ভোরে কেরলের পালাক্কাদের পাত্তাম্বিতে অভিযান চালায় জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সিএ রউফকে। কেন্দ্রীয় সরকার সেপ্টেম্বরে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ)-এর অধীনে পিএফআই এবং এর আটটি অনুমোদিত সংস্থাকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল।
গত মাসে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ দেশজুড়ে পিএফআইয়ের একাধিক ঠিকানায় অভিযান চালায়। দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে সংগঠনের বেশ কয়েকজন জাতীয় ও রাজ্য-স্তরের নেতাকে এনআইএ গ্রেফতারও করেছে। দেশের একাধিক রাজ্যে পিএফআইয়ের দফতর ও নেতাদের বাড়িতে অতর্কিতে চালানো অভিযানের দিন কয়েক পরেই গোটা সংগঠনটি নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর থেকেই আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান কেরলে পিএফআইয়ের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সিএ রউফ। রউফকে ধরতে না পেরে এনআইএ তাঁর বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করেছিল।
আরও পড়ুন- ‘সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, ওঁর নেতৃত্বে ভারত এগিয়েছে’, মোদীর ভূয়সী প্রশংসায় পুতিন
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে পিএফআইয়ের কার্যালয় ও নেতাদের বাড়িতে এনাইএ অভিযান ও গ্রেফতারির প্রতিবাদে কেরলে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন সংগঠনটির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রউফ। সেই ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে কেরলে ব্যাপক গন্ডগোল ছড়িয়ে পড়েছিল। হাইকোর্ট ধর্মঘটের ডাক দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল। পুলিশ কেরল-জুড়ে সেই গন্ডগোলে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএফআই কর্মী-সহ কমপক্ষে দেড় হাজার জনকে গ্রেফতার করে।
এর আগে ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে অশান্তিতে মদত দেওয়ার অভিযোগে কেরল পুলিশ রাজ্যের আর এক পিফআই নেতা আবদুল সাথারকে গ্রেফতার করেছিল। পিএফআই-এর ডাকা এই ধর্মঘটের জেরে কেরলের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। চলে বেপরোয়া ভাঙচুর। হাইকোর্ট এই কাণ্ডে বেশ ক্ষুব্ধ। জরিমানা না মেটালে অশান্তি-ভাঙচুরে ধৃতদের যাতে কোনওভাবে জামিন দেওয়া না হয়, সেব্যাপারে নিম্ন আদালতগুলিকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।