কোয়েম্বাটুর গাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় রাজ্য জুড়ে অভিযান চালাচ্ছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। NIA রাজ্য জুড়ে ৪০ টি’রও বেশি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। এর মধ্যে কোয়েম্বাটুরে ১৫টি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। আগে পুলিশ এই মালমার তদন্ত করছিল। পরে NIA তদন্তভার গ্রহণ করে।
কোয়েম্বাটোরে চলন্ত গাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণে নিহত হয় জেমিশা মুবিন নামে এক যুবক। ওই যুবকের মৃত্যুর পিছনে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী-যোগ সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে এনআইএ। তামিলনাড়ুর ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ সি. সিলেন্দ্র বাবু এই ঘটনার পিছনে জঙ্গি-যোগ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। তথ্য অনুসারে, এনআইএ কোয়েম্বাটোরের উদাক্কাম, কোট্টমেডু, পনভিঝা নগর এবং রথিনাপুরিতে অভিযান চালায়, পাশাপাশি চেন্নাইয়েরও একাধিক জায়গায় অভিযান চালানো হয়।
২৩শে অক্টোবর, কোয়েম্বাটোরের উদাক্কাম এলাকায় কোট্টাই ইশ্বরন মন্দিরের কাছে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, গাড়ির ভিতরে থাকা সিলিন্ডার ফেটেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। তামিলনাড়ু সরকার এই মামলাটি এনআইএ-র কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরে, ৩০ অক্টোবর, NIA আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার তদন্ত শুরু করে।
আরও পড়ুন: < ইদগাহ ময়দানেই হবে টিপু জন্ম জয়ন্তী পালন, মিলল অনুমতি >
এই মামলায় মন্দিরের পুরোহিত সুন্দরেশানকেও জেরা করে NIA। বিস্ফোরণে ২৯ বছর বয়সী ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক জামিশা মুবিন নিহত হন। পুলিশ জানিয়েছে মুবিনের বাড়ি থেকে চারটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে একাধিক বিতর্কিত বিষয়ের উল্লেখ ছিল। এছাড়াও তাঁর বাড়ি থেকে মিলেছে কিছু আইএসআইয়ের যোগসূত্রের ইঙ্গিত।
পুলিশের তদন্তে ৭৫ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেশীয় বোমা তৈরিতে এই উপাদান ব্যবহার করা হয় বলে জানান হয়। পুলিশ বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে ইতিমধ্যেই এই মামলায় ৬জনকে গ্রেফতার করেছে।