কাশ্মীরের অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের মৃত্যুদণ্ড চাইল এনআইএ। জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের মধ্যে ইয়াসিন মালিক অন্যতম। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অশান্ত কাশ্মীর উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চলেছে ইয়াসিন মালিকের ইশারায়। জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা এই ইয়াসিন মালিক। তার বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন প্রয়োগ করেছে এনআইএ। এই আইনে মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্তের পর এনআইএর অভিযোগ, এই ইয়াসিন মালিকই উপত্যকার জঙ্গিদের অর্থসাহায্য করত। আদালতে মালিক দোষীও প্রমাণিত হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই এনআইএ এবার ইয়াসিন মালিকের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আবেদন জানাল। বিশেষ আদালতের বিচারক প্রবীণ সিংয়ের কাছে তদন্তকারী সংস্থাটি এই আবেদন জানিয়েছে। অন্যদিকে মালিকের আইনজীবী আবার এই নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়েছে। এই মামলার ন্যূনতম সাজাই হল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সেই মামলাতেই ইয়াসিন মালিককে কী সাজা দেওয়া হবে, তা স্থির করার ভার এখন সম্পূর্ণ আদালতের হাতে।
ইতিমধ্যে মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। এর আগে গত ১৯ মে জঙ্গিদের অর্থসাহায্য মামলায় ইয়াসিন মালিককে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। একইসঙ্গে ইয়াসিন মালিকের সম্পত্তির পরিমাপ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই পরিমাপ অনুযায়ী ইয়াসিন মালিকের জরিমানার পরিমাণ ঠিক হবে বলেই জানিয়ে দেয় আদালত। গত ১০ মে, মালিক আদালতকে জানিয়ে দিয়েছিল, সে এনআইএর দায়ের করা অভিযোগের কোনও বিরোধিতা করবে না। এনআইএ কাশ্মীরের এই নেতার বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপ, জঙ্গি কার্যকলাপের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকা, জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হিসেবে কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়া, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন- অশান্ত উপত্যকা! কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে নিহত ৩ পাক জঙ্গি
শুধু ইয়াসিন মালিকই না। আদালত এই মামলায় কাশ্মীরের অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ শুনেছে। তার মধ্যে রয়েছে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ফারুক আহমেদ দার বা বিট্টা ক্যারাটে, সাব্বির শাহ, মাসারত আলম, মহম্মদ ইউসুফ শাহ, আফতাব আহমেদ শাহ, নইম খান, মহম্মদ আকবর খাণ্ডে, রাজা মেহরাজউদ্দিন কালওয়াল, বসির আহমেদ ভাট, জহুর আহমেদ শাহ ওয়াতালি, সাবির আহমেদ শাহ, আবদুল রশিদ শেখ ও নাভাল কিশোর কাপুর। এর পাশাপাশি চার্জশিটে নাম রয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনেরও। অবশ্য সইদ ও সালাউদ্দিন, দুই জঙ্গি নেতাই ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতকে এড়িয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে আদালত।
Read full story in English