সুর চড়িয়েছিল ভারত। আর তাতেই কাজ হল। যাতায়াতের ক্ষেত্রে ইউরোপের নয় দেশ মান্যতা দিল কোভিশিল্ডকে। অর্থাৎ, ইউরোপীয় “গ্রিন পাস”-এর অন্তর্ভুক্ত হল সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি এই কোভিড ভ্যাকসিন। কোভিশিল্ড প্রাপকদের এখন আর অস্ট্রিয়া, জার্মানি, স্লোভানিয়া, গ্রীস, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন, সুইৎজারল্যান্ডে যেতে কোনও বাঁধার সম্মুখীন হতে হবে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোভিশিল্ডের অনুমোদন না মেলায় ভারতীয়দের বেজায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। কোভিশিল্ড প্রাপকদের ইউরোপে গেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলা হয়। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে ইউরোপে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলেও একই উপাদানে তৈরি ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভিশিল্ডের কেন অনুমোদন পাবে না?
আরও পড়ুন- ২-১৭ বছর বয়সিদের শরীরে এখনই Covovax-র ট্রায়াল নয়, সুপারিশ বিশেষজ্ঞ কমিটির
এরপরই ইউরোপের মাটিতে কোভিশিল্ডের গ্রহণযোগ্যতার জন্য উদ্যোগী হয় নয়াদিল্লি। কেন্দ্রের তরফে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সতর্ক করা হয়। বলা হয়, কোভিশিল্ডকে মান্যতা না দিলে ইউরোপ থেকে ভারতে আগত যাত্রীদের উপরও বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের নিয়মআরোপ করা হবে। মান্যতা দেওয়া হবে না ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল সার্টিফিকেটকেও। মনে করা হচ্ছে তার জেরেই যাতায়াতের ক্ষেত্রে ইউরোপের ৯ দেশ মান্যতা দিল কোভিশিল্ডকে।
করোনা টিকা হিসাবে ফাইজ়ার-বায়োএনটেক, ভ্যাক্সজেরভ্রিয়া, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা টিকা বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনুমোদনপ্রাপ্ত। এই চারটি সংস্থার টিকাপ্রাপ্তদের ১ জুলাই থেকে ডিজিটাল কোভিড সার্টিফিকেট দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। যাকে গ্রিন কারড বলা হচ্ছে। এবার এর অন্তর্ভুক্ত হল ভারতেরকোভিশিল্ড। তবে, কোভ্যাকসিনকে এখনও মান্যতা দেওয়া হয়নি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন